সিবিএন ডেস্ক:
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন সংক্রান্ত সব ধরনের নথি আগামী ৬০ দিনের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিটের শুনানিকালে আজ রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এ ছাড়া খালেদা জিয়ার জন্মদিনের বিভিন্ন তারিখ ব্যবহার বিষয়ে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এ সময় স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্য সচিব ও নির্বাচন কমিশনের সচিবকে এ আদেশ বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

খালেদা জিয়ার বিভিন্ন জন্ম তারিখ ব্যবহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মামুনুর রশিদ রিটটি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নাহিদ সুলতানা। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায় ও বিপুল বাগমার। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার পক্ষে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন শুনানিতে অংশ নেন।

শুনানি শেষে খালেদা জিয়ার পক্ষে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে রিটটি করা হয়। আমরা বলেছি, এ রিটটি প্রযোজ্য নয়। খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। তাঁকে আরও মানসিক চাপে ফেলতে রিট করা হয়েছে। তবু আদালত কিছু বিষয়ে রুল দিয়েছেন৷ এ ছাড়া খালেদা জিয়ার জন্মদিন সংক্রান্ত সব নথি আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেন।’

আদেশের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘রিট আবেদনে খালেদা জিয়ার পাঁচটি জন্মদিন ব্যবহারের কথা উল্লেখ রয়েছে। তাঁর এসএসসির নম্বরপত্রে জন্ম তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬। বিবাহ নিবন্ধনে জন্ম তারিখ লেখা রয়েছে ৪ আগস্ট ১৯৪৪। ২০০১ সালে নেওয়া তাঁর মেশিন রিডেবল পাসপোর্টে জন্ম তারিখ ৫ আগস্ট ১৯৪৬। চলতি বছরের মে মাসে তাঁর করোনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে জন্মতারিখ লেখা আছে ৮ মে ১৯৪৬। এ ছাড়া জাতীয় শোক দিবস ১৫ আগস্ট তিনি জন্মদিন পালন করেন। এসব নিয়ে রিট করলে আদালত এ আদেশ দেন।’

এর আগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মামুন অর রশিদ। এতে খালেদা জিয়ার সব ধরনের সনদ (যেগুলোতে জন্মদিন ব্যবহার করা হয়েছে) আদালতে দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়।

এ ছাড়া একটি (সিঙ্গেল) জন্মদিন নির্দিষ্ট করার নির্দেশনাও চাওয়া হয়।

স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার, গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিবাদী করা হয়।

রিটকারীর পক্ষে আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথি বলেন, ‘রাষ্ট্রের যেসব জায়গায় খালেদা জিয়ার জন্মনিবন্ধন বা জন্ম সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া আছে, সেখান থেকে তাঁর সব তথ্য সরবরাহের নির্দেশনা চেয়েছি। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার সঠিক ও সুনির্দিষ্ট জন্মতারিখ ঘোষণারও নির্দেশনা চেয়েছি।’