এম.এ আজিজ রাসেল :
স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণকারী ইয়াবা সম্রাট বহু মামলার আসামী নুর মোহাম্মদের ফাঁসি দাবি করেছে এলাকাবাসী। রোববার (১৩ জুন) সকাল ১১ টায় কচ্ছপিয়া পুকুর পাড় চত্বরে পূর্ব পাহাড় তলী এলাকাবাসীর আয়োজিত মানববন্ধনে এই দাবি করা হয়।

মানববন্ধনে বলা হয়, নুর মোহাম্মদ একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ইয়াবা কারবারি। তাঁর কারণে বিপদগামী হচ্ছে এলাকার তরুণ প্রজন্ম। এলাকায় সে নানা অপকর্ম করে বেড়াত। সে ইতিপূর্বেই ইয়াবা ও অস্ত্র মামলা নিয়ে জেল খেটে এসেছে। তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। তাঁর কাছে পুরো এলাকাবাসী জিম্মি ছিল। সর্বশেষ গত ৭ জুন রাতে নুর মোহাম্মদ ও তার সহযোগি সাজ্জাদের বাড়িতে বেধে রেখে রোহিঙ্গা তৈয়বকে ব্যাপক মারধর করে। পরের দিন নুর মোহাম্মদ বাসায় নিয়ে গিয়ে চেয়ারের সাথে বেধে রাখে। তৈয়বের স্ত্রী সকালে তৈয়বকে ছাড়াতে গেলে স্বামীকে বেধে রেখে তার সামনেই স্ত্রীকে ধর্ষণ করে ইয়াবা কারবারী নুর মোহাম্মদ। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী নুর মোহাম্মদ থেকে জানতে চাইলে তা পাত্তাও দেয়নি। পরে এলাকাবাসী থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ নুর মোহাম্মদকে আটক করেন। মানববন্ধনে চিহ্নিত এই সন্ত্রাসী ও ইয়াবা ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদকে আটক করায় মেয়র মুজিবুর রহমান ও সদর মডেল থানার ওসি শেখ মুনীর-উল-গীয়াসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ হয়। পাশাপাশি ধর্ষক ও চিহ্নিত ইয়াবা সম্রাট নুর মোহাম্মদের ফাঁসি দাবি করা হয়।

পূর্ব পাহাড়তলী জামে মসজিদ পরিচলনা কমিটির সভাপতি কবির আহমদ সওদাগরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পূর্ব পাহাড়তলী সমাজ কমিটির সভাপতি নুরুল আজিম সওদাগর, বৃহত্তর পাহাড়তলী সমিতির সভাপতি ইউছুফ সওদাগর, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম, পূর্ব পাহাড়তলী জামে মসজিদের খতীব মাওলানা আনোয়ার হোসেন আনছারী, পূর্ব পাহাড়তলী আদর্শ সমাজ কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম, বৃহত্তর পাহাড়তলী সমিতির উপদেষ্টা শেখ সেলিম, পূর্ব পাহাড়তলী সমাজ কমিটির প্রধান উপদেষ্টা জানে আলম সাকি, বৃহত্তর পাহাড়তলী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আক্কাছ পাশা, সদস্য একরামুল হক, বৃহত্তর পাহাড়তলী সমিতির সাবেক সভাপতি ছাবের আহমদ, আইনজীবী সহকারী কামাল উদ্দীন ও আরিফ উল্লাহ।

মানবন্ধনে পরিচালনা করেন পূর্ব পাহাড় তলী সমাজ কমিটির সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ। এতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।