সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
কক্সবাজার আইন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সদস্য এডভোকেট বাহার উদ্দিন আর নেই। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজেউন।
শনিবার (১২ জুন) দিবাগত ১২টা ১৫ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তিনি ব্রেনের অসুস্থতাজনিত কারণে রাজধানী ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
এডভোকেট বাহার উদ্দিনের ছোট ভাই শহিদুল ইসলাম জানান, শনিবার রাত সোয়া ১১টার দিকেও তিনি সুস্থ ছিলেন। তার কিছুক্ষণ পরই শ্বাসসকষ্টজনিত সমস্যা শুরু হয়। পরে অক্সিজেন সিচুরেশন নিচে নামতে থাকে। অক্সিজেন সিচুরেশন আর উন্নতি না হওয়ায় তাঁকে বাঁচানো যায়নি।
তিনি জানান, এডভোকেট বাহার উদ্দিন নিজেই প্রায় ১০ দিন আগে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামের সিএসসিআরে গিয়েছিলেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি ওখানে ভর্তি হন। পরে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাঁকে পাঁচদিন আগে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওখানে তিনি এইচসিইউতে (হাই ডেফিসিয়েন্সি ইউনিট) নিবিড় তত্বাবধানে ছিলেন।
এডভোকেট বাহার উদ্দিনের জন্ম কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলাধীন উজানটিয়া ইউনিয়নের উজানটিয়া গ্রামে। ৫ ভাই ও ৭ বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। আইন পেশা শুরু করার পর পরিবার নিয়ে তিনি কক্সবাজার শহরে চলে আসেন। তিনি শহরের উত্তর বাহারছড়ায় (হোটেল নিরিবিলির পেছনে) জমি কিনে স্থায়ী নিবাস গড়েছিলেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই কন্যা ও এক মেয়ে জামাতাসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন। তার এক ছেলে ছিল, সে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে রাজধানীর ধানমন্ডি লেকে গোসল করতে গিয়ে কয়েকবছর আগে মারা যায়।
ছোট ভাই শহিদুল ইসলাম জানান, লাশ কক্সবাজার শহরে নিয়ে আসা হবে। জানাযা শেষে কোথায় দাফন করা হবে তা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।