মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া:
অফিস চলাকালীন সময়ে কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার প্রধান ডাকঘরের উপজেলা পোস্ট মাস্টার সুভ্রত দেব তাঁর কার্যালয়ে ঘুমাচ্ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) দুপুরে নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন সংবাদ আসে এ প্রতিবেদকের কাছে। এ প্রতিবেদক পেকুয়া চৌমুহুনী থেকে দ্রুত উপজেলার প্রধান ডাকঘরে সরেজমিনে গিয়ে পোস্ট মাস্টারকে অফিস চলাকালীন সময়ে তাঁর কার্যালয়েই ঘুমে দেখতে পান। পেকুয়া উপজেলা সদরের ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের পাশেই পেকুয়া উপজেলার প্রধান ডাকঘরের অবস্থান। সুভ্রত দেব গত কয়েক বছর ধরে এখানে কর্মরত রয়েছে। তার বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে।
১০ জুন দুপুরে পেকুয়ার প্রধান ডাকঘরে সরেজমিনে দেখা গেছে, ডাকঘরের নিচ তলার মাঝখানে উপজেলা পোস্ট মাস্টারের টেবিল ও চেয়ার রয়েছে। আর তাঁর বসার চেয়ারের সাথে লাগোয়া পশ্চিম পাশে আছে একটি ছোট কক্ষ। ওই কক্ষেই একটি চৌকির (খাঁট) ওপরেই সরকারী অফিস চলাকালীন সময়ে বেশ আরামেই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন উপজেলা পোস্ট মাস্টার সুব্রত দেব! ১০ জুন (বৃহস্পতিবার) দুপুর ২ টা ৩৩ মিনিটের ঘটনা এটি। আর এ সময় তাঁর কার্যালয়ের বাইরে ঘুম ভাঙার অপেক্ষায় বসে আছেন কয়েকজন সেবাপ্রার্থী। কিন্তু কিছুতেই ঘুম ভাঙছিল না সেই কর্মকর্তার! পরে সেবা প্রার্থীরা বাধ্য হয়েই ফিরে যান।
সেবা প্রার্থী মো: ইউনুচসহ আরো কয়েকজন এ প্রতিবেদককে জানান, তিনি ডাকঘরে একটি হিসাব খুলতে দুপুর আড়াইটার দিকে পেকুয়ার প্রধান ডাক ঘরে যান। এসময় তিনি অফিসে কাউকে দেখতে পায়নি। পরে তিনি দেখতে পান, পোস্ট মাস্টার তাঁর টেবিলের পশ্চিম পাশের একটি কক্ষে আরামে ঘুমাচ্ছেন। পোস্ট মাস্টারের কখন ঘুম ভাঙবে? তিনিসহ আরো কয়েকজন সেবাপ্রার্থী বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন। দুপুর ২টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরও পোস্ট মাস্টারের ঘুম ভাঙেনি। পরে বাধ্য হয়েই তারা কয়েকজন সেবা প্রার্থী ফিরে যান।
কয়েকজন সেবা প্রার্থী অভিযোগ করে জানান, প্রায় সময় সরকারী অফিস চলাকালীন সময়ে পেকুয়া উপজেলার প্রধান ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার সুভ্রত দেব তার টেবিলের পাশেই একটি কক্ষে ঘুমিয়ে ঘুমিয়েই অফিসের সময় পার করেন। এ পোস্ট মাস্টারের কারণে পেকুয়ার সাধারন জনগণ ডাক বিভাগের সেবা পেতে নানাভাবে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে ১০ জুন সন্ধ্যায় পেকুয়া উপজেলা প্রধান ডাকঘরের পোস্টমাস্টার সুভ্রত দেব এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমি তো অফিসে ছেড়ে কোথাও যাইনি। দুপুরে একটু পেট কামড়াচ্ছিল, তাই অফিসেই বিশ্রাম নিয়েছি।
অফিসে ঘুমানোর চৌকি (খাঁট) বসিয়ে ঘুমানোর নিয়ম রয়েছে কিনা জানতে চাইলে এ কর্মকর্তা বলেন, তিনি অফিসে ফ্যামেলী ছাড়া একা থাকেন। তাই অফিসেই ঘুমান।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।