আলমগীর মানিক, রাঙামাটি
নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের অবাধ ব্যবহারে কাপ্তাই হ্রদে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ দিনে দিনে কমে আসছে। একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ির মাধ্যমে এসব বিক্রয় নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল সংগ্রহ করছে স্থানীয় জেলেরা। মাছের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এই জাল দিয়ে ইতিমধ্যেই বন্ধকালীন সময়ে ব্যাপকহারে মাছ ধরছে একটি চক্র।
বিভিন্ন সময় ছদ্মবেশে কাপ্তাই হ্রদের জেলেদের সাথে মিশে বিষয়টি নিশ্চিত হয় নৌ-পুলিশ কর্তৃপক্ষ। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নৌ-পুলিশ চট্টগ্রাম অঞ্চলের পুলিশ সুপার মোমিনুল ইসলাম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে রাঙামাটি শহরে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে শহরের রিজার্ভ বাজারের একটি ভবন থেকে বিপুল পরিমান বিক্রয় নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়। এসময় গোডাউনের দায়িত্বে থাকা এক কর্মচারিকে আটক করার কথা নিশ্চিত করেছেন নৌ-পুলিশ রাঙামাটি অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার ইউছুপ সিদ্দিকী-পিপিএম।
অভিযানের খবর পেয়ে স্থানীয় একাধিক জালের দোকান তাৎক্ষনিকভাবে বন্ধ করে দোকানীরা সটকে পড়লেও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে সাথে নিয়ে কয়েকপি গুদামে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় নৌ-পুলিশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের এডিশনাল এসপি কীর্তিমান চাকমা, রাঙামাটি অঞ্চলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ ইউছুপ সিদ্দিকী পিপিএম, ইন্সপেক্টর রাসেল চৌধুরীসহ একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যগণ উক্ত অভিযানে অংশগ্রহণ করেন।
অভিযানের নেতৃত্বে থাকা নৌ-পুলিশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পুলিশ সুপার মোঃ মোমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া জানিয়েছেন, কাপ্তাই হ্রদে চলমান বন্ধকালিন সময়ে একশ্রেণীর অসাধু চক্র ক্ষতিকর জালদিয়ে মাছ ধরছে এবং শহরের বাজারগুলোতে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল বিক্রি করছে এমন সুনির্দিষ্ট্য অভিযোগের ভিত্তিতে সকাল থেকে কাপ্তাই লেকে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি।
এসময় এক দোকানদারকে অনুসরণ করে তার ব্যাপারে কারেন্ট জাল বিক্রির সুনির্দিষ্ট্য তথ্য পেয়ে তার গোডাউনে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। এসময় সেখানে বিপুল পরিমানে মজুদকৃত কারেন্ট জাল আমরা জব্দ করেছি।
নৌ-পুলিশের পক্ষ থেকে কাপ্তাই হ্রদের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় চলমান অভিযান আরো জোরদার করা হবে এমন মন্তব্য করে পুলিশ সুপার জানান, এই ধরনের নিষিদ্ধ জাল বিক্রির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আমরা তদন্তপূর্বক প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।