ইমাম খাইর, সিবিএন:
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাসকে দীর্ঘ সাত মাস পর আবারও কক্সবাজার কারাগারে আনা হয়েছে।

দুদকের একটি মামলায় তাকে এতদিন চট্টগ্রাম কারাগারে রাখা হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার (১০ জুন) বেলা পৌনে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা হয় একটি দল।

বিকাল ০৩টা ২৫ মিনিটে প্রদীপবাহী প্রিজন ভ্যানটি কক্সবাজার জেলা কারাগারে পৌঁছে।

বিষয়টি কক্সবাজার নিউজ ডটকম (সিবিএন)কে নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি জেলার মো. মনির হোসেন।

তবে, তবে কি কারণে প্রদীপ কুমার দাসকে কক্সবাজার কারাগারে আনা হলো তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি।

প্রসঙ্গত, দুদকের মামলায় হাজিরা দিতে প্রদীপ কুমার দাসকে ২০২০ সালের ১১ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম কারাগারে নেয়া হয়।

এর আগে গত ২৩ আগস্ট প্রদীপ কুমার দাস ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ বাদী হয়ে মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দীন।

দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৬ (২) ও ২৭ (১), মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪ (২) ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, প্রদীপের স্ত্রী চুমকি দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ১৩ লাখ ১৩ হাজার ১৭৫ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। এছাড়া তিন কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হয়েছে, যা প্রদীপ কুমার দাস ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করে পরস্পরের যোগসাজশের মাধ্যমে হস্তান্তর; স্থানান্তরের মধ্য দিয়ে ভোগদখলে রেখে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান পুলিশের গুলিতে নিহত হন।

এ ঘটনায় ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়েছে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ (পরিদর্শক) লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি করে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে মামলা করেন। ৬ আগস্ট প্রধান আসামি লিয়াকত আলী ও প্রদীপ কুমার দাশসহ ৭ পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালতের আদেশে মামলাটির তদন্ত করে র‌্যাব।

তদন্ত শেষে প্রদীপ কুমার দাসসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম।