জাহাঙ্গীর আলম কাজল, নাইক্ষ্যংছড়ি:
রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ফাক্রিকাটা গ্রামের আলোচিত আবদুর রহমান (৪০)কে ১০ হাজার ১৮৯টি ইয়াবাসহ আটক করেছে বিজিবি।

বুধবার (৯জুন) বিকেলে গর্জনিয়া ইউনিয়নের রাজঘাট এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর সিরাজুল ইসলাম সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আবদুর রহমান রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের পাহাড়তলী (মুরারকাচা) গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদুজ্জামার ছেলে।

তবে, আবদুর রহমান আটক হলেও তার সঙ্গে থাকা ফাক্রিকাটার মৃত হাজী বদরুজ্জামানের ছেলে মো.সেলিম পালিয়ে যায় বলে বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়।

আটকের পর বিজিবির জোন সদরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রামু থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। মামলা হয়েছে দুইজনের বিরুদ্ধে।

আবদুর রহমানকে আটকের খবরটি ‘টক অব দ্যা ভিলেজে’ পরিণত হয়েছে। এলাকায় চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সবখানে চলছে রহমানের উত্থানের চুলছেরা বিশ্লেষণ।

স্থানীয়রা অবগত, আবদুর রহমান একজন সাধারণ সিএনজি চালক, পরে ছোটখাট ব্যবসায়ী। এরপর তাঁর উচ্চাভিলাষী চলাফেরা। রামু-নাইক্ষ্যংছড়ির জনপদে ছড়িয়ে পড়ে একটি কথা। বিশাল ইয়াবার চালান পার করে কোটিপতি হয়ে যান আব্দুর রহমান।

তবে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১কোটি ৭ লাখ টাকায় রামুর গর্জনিয়া বাজার ইজারা নিয়ে এলাকায় ভিন্ন এক পরিচিতি লাভ করে রহমান।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে গেল এক বছর তার ওপর চালানো হয় কঠিন গোয়েন্দাগিরি। অবশেষে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি পরিচালনা করেছে সফল অভিযান।

স্থানীয়রা জানান, আবদুর রহমান ২০০৫ সনের দিকে রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি ও গর্জনিয়া সড়কে ভাড়ায় গাড়ি চালাতো। ২০১০ সনে মাদক ও ডাকাতি মামলায় কারাভোগও করে সে।

কারামুক্তির পর এলাকায় আবারো শুরু করে ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালানো। গাড়ি নিয়ে সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় যাওয়ার সুযোগে জড়িয়ে পড়ে ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে। পাল্টে জীবনচিত্র। বদল হয় ভাগ্য!

এলাকার প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের শুরু হয় ওঠাবসা-লেনদেন। জমে গভীর হাবভাব। ক্ষমতাসীন দলের সভা ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের অগ্রভাগেও দেখা যেতো একসময়কার সিএনজি চালক আব্দুর রহমানকে। অবশেষে ইয়াবাসহ ধরা পড়ে তার মুখোশ উন্মোচিত হলো।