সিবিএন ডেস্ক:
কক্সবাজারের বিশিষ্ট আইনজীবি, জেলা বারের সাবেক সভাপতি, কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও কক্সবাজার ইসলামিয়া মহিলা কামিল মাদ্রাসাসহ বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা এড. সালামতুল্লাহ মৃত্যুবরণ করেছেন গত ৬ জুন রাত সাড়ে ৮ টায়। পর দিন ৭ জুন বাদে জুহর কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে তাঁর জানাযা শেষে বাহারছরা কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়। কিন্তু কক্সবাজার ইসলামিয়া মহিলা কামিল মাদ্রাসার কাগজে কলমে এড. সালামতুল্লাহর মৃত্যু হয়েছে ২ বছরের বেশি সময় আগে। সম্প্রতি মরহুম এড. সালামতুল্লাহর নিজহাতে গড়া এই প্রতিষ্ঠানের কমিটি গঠন সংক্রান্ত কিছু কাগজ পত্র থেকে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, সদ্য প্রয়াত এড. সালামতুল্লাহ কক্সবাজার ইসলামিয়া মহিলা কামিল মাদ্রাসার একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। সে হিসাবে তিনি অতীতে বেশ কয়েকবার উক্ত বালিকা মাদ্রাসার কমিটিতে গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। ব্যাংক হিসাবে লেনদেন করেছেন। রেজুলেশনেও তাঁরসহ তৎকালীন কমিটির প্রধান জেলা প্রশাসকসহ অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিদের স্বাক্ষর আছে। সর্বোপরি তিনি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসাবে বেশ কয়েকবার কমিটিতে ছিলেন।
গত ১০ জুন ২০১৮ সালে ইসলামি আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত যে কমিটি গঠন করা হয়েছে সেই কমিটিতে প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের পদ শুন্য দেখানো হয়েছে, সেখানে আবার কারণ হিসাবে দেখানো হয়েছে মৃত্যু জনিত। সে হিসাবে প্রায় দুই বছর আগেই মৃত্যুবরণ করেন এড. সালামতুল্লাহ। জটিলতার এখানেই শেষ নয়, কমিটির নিয়ম অনুযায়ী প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে যে কেউ বেঁচে থাকলে সেই পদে অবশ্যই উনার নাম আসবে।
জানা গেছে, কক্সবাজার ইসলামিয়া মহিলা কামিল মাদ্রাসার আরেকজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কক্সবাজার হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার। যিনি বর্তমানে জীবিত আছেন কিন্তু সেই কমিটি গঠনের সময়ে তাকেও মৃত দেখানো হয়েছে। যদিও তাকে অন্য স্থানে সদস্য করা হয়েছে। তবে হওয়া উচিত ছিল প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার ইসলামিয়া মহিলা কামিল মাদ্রাসার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাহমুদুল করিম ফারুকী বলেন,আমি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি। এসব বিষয় আগের অধ্যক্ষের সময়ে হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এড. ছালামত উল্লাহ এই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসাবে যথেস্ট কাগজ পত্র আছে। এখন তাকে কেন মৃত দেখানো হয়েছে তা আমি জানিনা।
এ ব্যপারে আরেক প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আবুল কাশেম সিকদার বলেন, এড. সালামতুল্লাহ শুধু প্রতিষ্ঠাতা নন অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। তার হাত ধরে এই মাদ্রাসা আজকের এই জায়গায় এসেছে। ২ বছর আগে কমিটি গঠনের সময় তাকে মৃত দেখানোটা বড় বেয়াদবি।
আমি সেই বিষয়ে জানার পর তার প্রতিবাদ করেছি। আমার মতে এটা মস্তবড় অন্যায় হয়েছে। আর যারা করেছে তারা বড় অনিয়ম করার জন্য এটা করেছে।
এ ব্যাপারে তৎকালীন অধ্যক্ষ (বর্তমান অবসরে) মৌলানা জাফর উল্লাহ নূরী বলেন, এড. এড. সালামতুল্লাহ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা এটা সত্য। তবে সেটা গেজেটেড নয়, তাই মাদ্রাসার প্রয়োজনে যখন যা করতে হয়েছে তাই করেছি।