মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

অপেক্ষাকৃত দ্রুততম সময়ের মধ্যে কক্সবাজারের পর্যটন স্পট, হোটেল-মোটেল সমূহ খুলে দেওয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলে কক্সবাজারের পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়ার অপরিহার্যতা তুলে ধরবো।

টুয়াক সহ কক্সবাজারের পর্যটন সংশ্লিষ্ট ৯টি সংগঠনের প্রতিনিধিরা পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী এমপি’র সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করতে গেলে তিনি একথা বলেন। মঙ্গলবার ৮ জুন রাতে কক্সবাজার সমুদ্র পাড়ের হোটেল শৈবালের লবীতে এ সৌজন্য সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়।

কক্সবাজারের অন্যতম পর্যটন উদ্যোক্তা ও রাজনীতিবিদ মফিজুর রহমান সিবিএন-কে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, প্রতিমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত পর্বটা অনেকটা মতবিনিময় সভায় পরিণত হয়।

পর্যটন শিল্পের প্রতিনিধিরা এসময় পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী এমপি’র কাছে পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ থাকায় এ শিল্পের সাথে বিভিন্নভাবে জড়িত লক্ষ লক্ষ মানুষ বেকার হয়ে অসহায় হয়ে পড়ার কথা তুলে ধরেন। প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী পর্যটন শিল্পের প্রতিনিধিদের কথা শুনে সহমর্মিতা প্রকাশ করেন এবং কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প খুলতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার চেষ্টা করবেন বলে জানান। পর্যটন শিল্পের প্রতিনিধিরা বলেন, এ শিল্প বন্ধ থাকাতে শুধু পর্যটন কর্মীরা অসহায় হয়ে পড়েনি, সরকারও কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।

এসময় বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোকাম্মেল হোসেন, পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মোঃ হান্নান মিয়া তাঁদের বক্তব্যে সরকারের আরোপিত বিধিনিষেধ এর কারণে কক্সবাজারে পর্যটন খাত মারাত্মক ক্ষতি ও হুমকির মুখে পড়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তাঁরা কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের ক্ষয়ক্ষতি নির্ণয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন। তাঁরা উভয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কক্সবাজারের পর্যটন উন্মুক্ত করার জন্য কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় পরামর্শ কমিটির বরাবরে সুপারিশ প্রেরণ করতে এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর শরণাপন্ন হতে পর্যটন প্রতিমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান। শুরুতে কক্সবাজার পর্যটন শিল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী এমপি, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোকাম্মেল হোসেন, পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মোঃ হান্নান মিয়া সহ উর্ধ্বতন কর্মকতাদের ফুল দিয়ে অভিবাদন জানান।

এদিকে, কক্সবাজার পর্যটন শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্টরা এখানকার পর্যটন শিল্প স্বাস্থ্য বিধি প্রতিপালন করা সাপেক্ষে দ্রুত খুলে দেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে দাবী জানিয়ে আসছে। করোনা সংক্রামণ প্রতিরোধে সরকারের বিধিনিষেধ আরোপের পর থেকে দীর্ঘ ২ মাসেরও বেশি সময় ধরে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প বন্ধ রয়েছে।