শাহেদুল ইসলাম মনির,কুতুবদিয়া :

দক্ষিণ অমজাখালী হাজারো মানুষের যোগাযোগের একমাত্র ভরসা সড়কটিই যেন মরণফাঁদ।

এলজিইডি’র আওতাধীন গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কটি সংস্কারের অভাবে এখন ভুক্তভোগীদের অভিশাপে পরিণত হয়েছে। মগডেইল থেকে নতুন সাইক্লোন সেন্টার পর্যন্ত সড়ক মেরামত হলেও রইয়ে যায় সাড়ে ৬০০ মিটার সড়ক এখন চলাচলকারীদের মধ্যে আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দক্ষিণ অমজাখালী মানুষদের কয়েক বছর ধরে বেহাল সাড়ে ৬০০ মিটার সড়কটিই এখন চলাচলের অনুপযোগী।

সড়কে চলাচলকারীরা জানান, যান চলাচল করাতো দূরের কথা, পায়ে চলাচল করাই ঝুঁকিপূর্ণ। পুরো সাড়ে ৬০০ মিটার সড়কজুড়ে গর্ত, খানাখন্দ, কাদা আর জলাবদ্ধতা মাড়িয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়তই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পথচারীরা। প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। চিকিৎসাসেবা গ্রহীতা গর্ভবতী মহিলা ও বয়োবৃদ্ধরা ওই সড়কের নাম শুনলেই ভয় পান।

সরেজমিনে এই সড়ক ঘুরে দেখা গেছে সাড়ে ৬০০ মিটার সড়কটিই যেন মরণফাঁদ! নতুন সাইক্লোন সেন্টার থেকে আল-আমিন মার্কেট পর্যন্ত পুরোটাই গর্ত-খানাখন্দ ও কাদায় ভরা। বিপজ্জনক অবস্থায় বেরিয়ে আছে ইট-পাথর। যে কোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। ওই সড়কের আলী আকবরের বাড়ি থেকে, আল-আমিন মার্কেট পর্যন্ত পুরো সড়ক কাদাজলে ভরা।

দোকানদার ঝিকু বলেন, বছরের পর বছর এই সড়কে যাতায়াতে আমাদের দুর্ভোগের সীমা নেই। আমরা যেন ছিটমহলের বাসিন্দা।

অমজাখালী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শহিদুল্লাহ বলেন, সড়কটির অবস্থা খুবই নাজুক। আমাদের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। সড়কটি দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নিতে আমি ঊর্ধ্বতন প্রশাসনসহ জনপ্রতিনিধিদের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এ বিষয়ে বড়ঘোপ ইউপি চেয়ারম্যান আ.না.ম শহীদ উদ্দীন ছোটন বলেন,এলজিইডি অফিসে বারবার ধর্না দেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে সড়কটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানাই।

উপজেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জামাল উদ্দীন বলেন, সাইক্লোল সেন্টার টু আল-আমিন মার্কেট পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৬০০ মিটার সড়ক এলজিইডির আওতাভুক্ত। ওই সড়কের ভাঙা অংশের সাড়ে ৬০০মিটারের একটা স্লিপ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে। খুব শিগগির প্রকল্পটি পাস হবে বলে আশাবাদী। করোনা পরিস্থিতির কারণে দেরি হচ্ছে। তবে প্রকল্পটি পাস হলেই সড়কের মেরামত কাজ শুরু হবে।