এম.মনছুর আলম, চকরিয়া:
চকরিয়ায় ১২ বছর বয়সী কিশোরীকে বিয়ের দাওয়াত দিয়ে ঘরে নিয়ে পানিতে নেশা জাতীয়দ্রব্য মিশিয়ে খাওয়ানোর পর ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে দুইজনের বিরুদ্ধে সোমবার (৭জুন) চকরিয়া থানায় মামলা করেছেন।

যার মামলা নং- ১৩/২৩৫।

মামলার আসামিরা হলেন- খুটাখালী ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের গর্জনতলী এলাকার ফখরুল ইসলামের মেয়ে রোকসানা আক্তার ও একই এলাকার নূরুল ইসলামের ছেলে মো: ইউনুছ।

গত ২ জুন বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডস্থ গর্জনতলী এলাকার রোকসানা আক্তারের বসতঘরে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে মামলার এজাহার উল্লেখ আছে।

এজাহার মতে, ২ জুন বিকেলে খুটাখালী ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডস্থ গর্জনতলী এলাকার ফখরুল ইসলামের মেয়ে রোকসানা আক্তারের বাড়িতে কিশোরীকে কৌশলে বিয়ের দাওয়াত দিয়ে নিয়ে যায়। পরে তাকে ভাত খাওয়ার সময় জোরপূর্বক পানি খাওয়াতে বাধ্য করলে ওই কিশোরী অনিহা প্রকাশ করে। তারপরও বাধ্য করায় একগ্লাস পানি পান করে। কিন্তু সেই পানিতে যে  নেশা জাতীয় দ্রব্য মেশানো হয়েছে, তা জানতো না ওই কিশোরী। পানি পানের পরেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরিকল্পনা মতে ওই ঘরে আগে থেকে অবস্থান করা একই এলাকার নূরুল ইসলামের ছেলে মো: ইউনুছ কিশোরীকে ধর্ষণ করে। অনেক চেষ্টার পর জ্ঞান ফেরাতে না পেরে ধর্ষণের পরদিন (৩ জুন) কিশোরীকে অজ্ঞান অবস্থায় তার নিজ ঘরে রেখে দিয়ে যায়।

কিশোরীর অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং চিকিৎসা করানোর পর জ্ঞান ফিরে আসলে তার সাথে ঘটে যাওয়া বর্ণিত ঘটনা তার মাকে অবগত করলে ধর্ষণের বিষয়টি জানা যায়।

সোমবার (৭জুন) ভিকটিমের মা বাদী হয়ে দুইজনকে আসামী করে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ১৩/২৩৫।

ধর্ষণের ঘটনার মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চকরিযা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের।