মহেশখালী প্রতিনিধি:

মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের রাঙ্গাখালীতে চিংড়ি
প্রজেক্টে চাষ করতে গিয়ে জীবনের নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে ইউনিয়ন যুবলীগের
নেতা সাবেক মেম্বার আব্দুল কুদ্দুস। নিজের জীবনের জানমালের নিরাপত্তা
চেয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় ৬ই জুন সাধারণ ডায়রী
দায়ের করেছেন কুদ্দুস। যাহার সাধারণ ডায়রী নং-২৬৩। মহেশখালী থানায় দায়ের
করা সাধারণ ডায়রী সূত্রে জানা গেছে, মাতারবাড়ী মৌজার রাঙ্গাখালী খালের
জমির প্রকৃত মালিকদের কাছ থেকে চিংড়ি চাষের জন্য জমি ইজারা নিয়ে চলতি
বর্ষার মৌসূমে চিংড়ি চাষ শুরু করে আব্দুল কুদ্দুস। চিংড়িঘেরটি মাতারবাড়ী
ইউপির দক্ষিণ রাজঘাট এলাকার কাঁচাকাছি হওয়ার কারণে দক্ষিণ রাজঘাট এলাকার
হাবিবুর রহমানের ছেলে আব্দু রশিদ, মাম্মদ এর ছেলে জসিমসহ ৭/৮ জন
সাঙ্গাপাঙ্গা নিয়ে প্রায় সময় কুদ্দুস মেম্বার এর কাছ থেকে চাঁদাদাবী করে
আসছে। তাদের দাবীকৃত চাঁদা না দিলে চিংড়িঘের করতে দেবে না, জানমালের
ক্ষতি সাধন করবে ইত্যাদি ভয়ভিতি প্রদর্শন করে আসছে আব্দুর রশিদ ও তার
লোকজন। গত ৪জুন রাত সাড়ে ৮টার সময় মাতারবাড়ীস্থ বাংলা বাজার
এলাকায় আব্দুর রশিদ তার দলীয় লোকজন নিয়ে হুমকি ধমকি দেয় কুদ্দুসকে।
কুদ্দুস বিষয়টি এলাকার গন্যমান্য লোকজনকে অবহিত করে , নিরুপায় হয়ে ৬ই জুন
মহেশখালী থানায় আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে এক খানা
সাধারণ ডায়রী দায়ের করেছেন কুদ্দুস। আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়রী
দায়ের করার খবর পেয়ে ক্ষিপ্ত হয় এবং রবিবার ৬ই জুন রাতের বেলায় আব্দুল
কুদ্দুস এর চিংড়িঘেরে তান্ডব চালিয়ে পলপোর্ট থেকে জাল ও মুল্যবান
জিনিসপত্র লুটকরে নিয়ে গেছে।
সাবেক মেম্বার আব্দুল কুদ্দুস ক্ষোভ ও দু:খ প্রকাশ করে এ প্রতিবেদক কে
বলেন, মাতারবাড়ীর মানুষ এখনো রাজঘাটের মানুষের কাছে জিম্মি হয়ে আছে। তারা
সব সময় লুটেতরাজ চালায়। দেশের প্রচলিত আইনকে বৃদ্ধ আঙ্গুলি দেখিয়ে আইনকে
তোয়াক্কা না করে জুলুম ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করা তাদের সনাতনী রেওয়াজ।
মাতারবাড়ীর অন্যান্য গ্রামের মানুষ গুলি রাজঘাট এলাকার ত্রাসের
রাজত্বকায়েম কারীদের কাছ থেকে পরিত্রাণ চায়।
দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনের কাছে সুষ্টু তদন্তপূর্বক ন্যায়
বিচার প্রার্থনা করেছেন মাতারবাড়ী ইউপির ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার
আব্দুল কুদ্দুস।