ইকরাম চৌধুরী টিপু, এনটিভি, কক্সবাজার
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় লকডাউন প্রত্যাহার করে আগামী ১৩ জুন পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এর আগে উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের ২, ৫, ৬ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে এ দুই উপজেলায় ৬ জুন পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হয়।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিজাম উদ্দিন আহমেদ ও টেকনাফের ইউএনও পারভেজ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অপরদিকে, কক্সবাজারের পাঁচটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চলমান লকডাউন বর্ধিত করার বিষয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ মোহাম্মদ রেজওয়ান হায়াত। গত ২১ মে থেকে পাঁচটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কঠোর লকডাউন বলবৎ রয়েছে।
উখিয়ার ইউএনও নিজাম উদ্দিন আহমেদ ও টেকনাফের ইউএনও পারভেজ চৌধুরী জানান, সম্প্রতি রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও উখিয়ায় করোনার সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় জেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে বিধিনিষেধ বাড়ানোর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিধিনিষেধ চলাকালে দূরপাল্লার বাসগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধারণক্ষমতার ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে আজ সোমবার থেকে চলাচল করতে পারবে। অন্যান্য গণপরিবহণের ক্ষেত্রে চলমান নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। কেবল জরুরি প্রয়োজনে যানবাহন চলাচল করতে পারবে।
হোস্ট কমিউনিটিতে কার্যক্রম চালানো এনজিওগুলো উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে শুধু অত্যাবশ্যকীয় জরুরি সেবা পরিচালনা করতে পারবে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কার্যক্রম পরিচালনাকারী আইএনজিও/এনজিওগুলো শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) কার্যালয় প্রদত্ত নির্দেশনা প্রতিপালন করবে।
এ ছাড়া, হাটবাজার ও দোকানপাটের ক্ষেত্রে চলমান বিধিনিষেধ বহাল থাকবে। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়া থেকে এবং হাটবাজার, চায়ের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁয় অহেতুক ঘোরাফেরা না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
উখিয়ার ইউএনও নিজাম উদ্দিন আহমেদ এক পরিসংখ্যান দিয়ে জানান, এক মাসে উখিয়া উপজেলায় ৪০০ জনের বেশি স্থানীয় জনগোষ্ঠী করোনা পজিটিভ হয়েছে। এর মধ্যে রাজাপালং ইউনিয়নে ২০০ জনের বেশি রোগী পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রাজাপালংয়ের ২, ৫, ৬ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা ছিল ১০০ জনের বেশি।
এদিকে, গত ৫ জুন পর্যন্ত উখিয়া উপজেলায় দুই হাজার ৪৪৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে, স্থানীয় নাগরিক এক হাজার ৩১৫ জন এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী এক হাজার ১২৮ জন।