বলরাম দাশ অনুপম:
দ্রুতই দৃশ্যমান হয়ে ওঠছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল লাইন। এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন এখন বাস্তবতায় পরিণত হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে ঈদগাহ্ পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন অংশে রেললাইনের পাটাতন বসানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্টদের দাবি, সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ২০২২ সালেই কক্সবাজারে রেলে করে মানুষ আসতে পারবে। দ্রুত সময়ে সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হওয়ায় দারুণ খুশি সর্বস্তরের মানুষ। লিংকরোড এলাকার রবিউল আলম বলেন-রেল লাইনে পাটাতন বসেছে দেখে বেশ ভাল লাগছে। সত্যি বলতে এত তাড়াতাড়ি রেল লাইনের কাজ শেষ হবে আমি কল্পনাও করতে পারিনি। ভেবেছিলাম সরকারি কাজ আস্তে ধীরে হবে হয়তো আমাদের জীবন থাকতে দেখে যেতে পারবো না। কিন্তু এখন সত্যি ভাল লাগছে।

একই এলাকার বৃদ্ধ নাজিম উদ্দিন বলেন, আমার বাড়ির সামনে রেল লাইন প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে এখনো পাটাতন বসেনি কিন্তু প্রায় পাশে এসে গেছে। আমার মতে কাজ খুব দ্রত হচ্ছে এবং কাজের মানও বেশ ভাল বলে মনে হচ্ছে।’ এদিকে রেল লাইনকে ঘিরে এলাকার মানুষের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। প্রতিদিন বিকাল হলে অসংখ্য নারী পুরুষ রেল লাইনের উপরে ঘুরতে বের হয়।

ঈদগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ রেজাউল করিম বলেন, ২ বছর আগে যখন রেল লাইনের কাজ শুরু হয়েছিল তখন এত দ্রুত কাজ হবে সেটা কেউ কল্পনা করতে পারেনি। বিশেষ করে এখন বেশির ভাগ জায়গাতে পাটাতন বসানোর কাজ শেষ হওয়াতে মানুষ খুবই খুশি। অনেকে বলছে এটা স্বপ্নের বাস্তবায়ন।

কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল জানান, বর্তমান সরকার উন্নয়নমুখি সরকার। রেল লাইন নিয়ে অনেক মানুষ ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করেছিল, অনেকে মনে করেছিল আদৌ রেল লাইনের কাজ শেষ করতে পারবে কিনা? কিন্তু সরকারের আন্তরিকতার কারণে রেল লাইন এখন স্বপ্ন নয় বাস্তবতায় পরিণত হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রেল লাইন কাজে চকরিয়া অংশে প্রায় জায়গায় পাটাতন বসে গেছে। অর্থাৎ রেল আসার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেছে। এখন বাকি অংশে কাজ শেষ হলেই রেল আসতে আর বাধা থাকবে না। রেল লাইন প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেল লাইনের কাজ ৭০% পর্যন্ত শেষ হয়েছে। বাকি কাজও আশা করি যথা সময়ে শেষ হয়ে যাবে। সে হিসাবে সরকারি ঘোষণা মতে ২০২২ সাল নাগাদ কক্সবাজারে রেলে করে মানুষ আসতে পারে।