সিবিএন ডেস্ক
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন বলেছেন, করোনায় আমরা অনেক ভালো আছি। পৃথিবীতে করোনায় মৃত্যুর হার আড়াই পারসেন্ট, বাংলাদেশে মৃত্যুর হার দেড় পারসেন্ট।

আজ শনিবার দুপুরে মা ফৌজিয়া মালেকের আত্মার মাগফেরাত কামনায় কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ ও ৫০০ শয্যা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আয়োজিত স্মৃতিচারণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মেডিকেল কলেজের লেকচার গ্যালারিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ ডা. জাকির হোসেন।
সাবেক মন্ত্রী, ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার উপদেষ্টা প্রয়াত কর্নেল (অব.) আবদুল মালেকের সহধর্মিনী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের মা ফৌজিয়া মালেক গত ২৭ মে ঢাকার গুলশানের এ এম জেড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ভারতে তিন লক্ষ, আমেরিকার মতো দেশে ছয় লক্ষ অথচ আমাদের দেশে মাত্র ১২ হাজার লোক করোনায় মারা গেছে। ভারতের সঙ্গে প্রায় সাতগুণ পপুলেশন পার্থক্য। আমরা অনেক ভালো আছি। ওদের সঙ্গে যদি সমান মিলাতে যাই তাহলে আমাদের মৃত্যু হওয়ার কথা ছিল ৮৪ হাজার লোক।
জাহিদ মালেক বলেন, করোনার সময়ে প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। অথচ আমরা কিন্তু পরীক্ষা নিয়েছি। কারণ আমরা মনে করি জীবন থেকে একটা বছর নষ্ট হয়ে যাওয়া মানে বিশাল ক্ষতি। করোনার চিকিৎসার ওষুধের কোনো অভাব ছিল না এবং এখনো আল্লাহর রহমতে অভাব নেই।
মা ফৌজিয়া মালেকের জীবদ্দশায় জীবনযাপনের ওপর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আম্মা বেঁচে থাকা অবস্থায় প্রতিদিন খোঁজ-খবর রাখতেন। ঢাকা থেকে যখন গ্রামের বাড়ি গড়পাড়ায় আসতাম, তখন মোবাইলে যোগাযোগ রাখতেন। এখন মা নেই, মায়ের কাছ থেকে আর কোনোদিন ফোন আসবে না। আগে তেমনটা না বুঝলেও, এখন বুঝি যার মা এই পৃথিবীতে নেই, তার মতো অভাগা আর কেউ নেই।
এ সময় জাহিদ মালেক কুলখানিতে আসা অতিথিদের কাছে মা ফৌজিয়া মালেকের জন্য বিশেষ দোয়া করতে অনুরোধ জানান।
কুলখানিতে অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু ইউসুফ ফকির, জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস, পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, জেলা সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল আমীন আখন্দ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, যুগ্ম সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেলসহ হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।