মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া:
চিরকুট সহ চকরিয়ার ব্যবসায়ী যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে বাঁশখালীর রামদাশ ফাঁড়ি পুলিশ। ময়নাতদন্তের পর বৃহস্পতিবার (৩ জুন) লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
নিহত যুবক বাবু কুমার শীল (২৫) চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা উত্তরপাড়া গ্রামের রনজিত শীলের ছেলে।
রামদাশ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘বাবু কুমার শীলের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের কক্ষ থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে। মৃত্যুর কারণ জানতে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।’
জানা গেছে, বাবু কুমার শীল প্রাণ কোম্পানির সাব ডিলার হিসেবে বিভিন্ন পণ্য বাঁশখালীর হাটবাজারে সরবরাহ করতেন। রামদাস মুন্সির হাটে গরুর বাজারের সম্মুখে আলী আহম্মদের মার্কেটে দুইটি কক্ষের একটিতে গোডাউন হিসেবে মালামাল রেখে ব্যবসা করতেন, অন্যটিতে তিনি নিজে থাকতেন। তার সাথে মিঠুন সেন গুপ্ত নামের এক ব্যক্তিও ভাড়ায় থাকতেন। মিঠুন অন্য একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। মঙ্গলবার রাতে মিঠুন সেখানে ছিলেন না। চট্টগ্রাম শহর থেকে সকাল ৯টায় ওইখানে এসে কক্ষের রুম খুলে বাবুর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান তিনি। পরে হাটের ব্যবসায়ী ও রামদাস মুন্সির হাট পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ হাতের লেখা একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে। ওই চিরকুটে পারিবারিকভাবে আর্থিক সংকট ও ঝগড়াঝাটির কথা উল্লেখ রয়েছে। তার আত্মহত্যার জন্য কেউ দায়ী নয় বলেও লিখে গেছেন। তবে লেখাটি বাবুর হাতের কিনা তা পুলিশ তদন্ত করছেন। এদিকে নিহতের স্বজনদের দাবি এটি আত্মহত্যা নয় পরিকল্পিত হত্যা। চিরকুটের লিখাও তার হাতের কিনা সন্দেহ পোষণ করেন।
বাবা রনজিত কুমার শীল বলেন, ‘আমার ছেলে কেন আত্মহত্যা করবে ? তার মৃত্যুর খবর পেয়ে ছুটে এসে দেখি পুলিশের কাছে লাশ। লোকজন বলছে রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।
ডুলাহাজারা ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার নুরুল আবছার বলেন, তাদের পরিবারে এমন কোন বিরোধ ছিলনা সে অতিষ্ঠ হয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিবে। হয়তো ব্যবসায়ীক লেনদেনের বিরোধে চিরকুট লিখে পরিকল্পিত কেউ হত্যা করেছে কিনা এমনও সন্দেহ পোষণ করেন তিনি।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের জানান, ডুলাহাজারার এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয়েছে বলে জানতে পারি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসলে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা জানা যাবে।