সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
কক্সবাজার সদরের ভারুয়াখালিতে তুচ্ছ ঘটনায় পথে ধরে মারধর ও বসতঘরে ঢুকে বেপরোয়া হামলায় বয়োবৃদ্ধ পিতা-মাতা ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ একই পরিবারের ৬ জন আহত হয়েছে।

বুধবার (২জুন) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ৫ নং ওয়ার্ডের চেইঙ্গামোরা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

আহতরা হলেন- ওই এলাকার হাজি মনির আহমদ (৬৭), তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৬০), মেয়ে ঈদগাহ ফরিদ আহমদ ডিগ্রি কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী সেলিনা আক্তার (২৩), ছেলে মনির উদ্দিন (২১), গিয়াস উদ্দিন (১৯), কক্সবাজার সিটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র রিয়াজ উদ্দিন (১৭)। তারা জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনায় জড়িত কেউ আটক হয় নি।

একই এলাকার ইদ্রিস, ইলিয়াস, মামুন, আশরাফ, হাসান, হোসেন, মনজিয়ারা বেগম, হোসনে আরা বেগম, রিতা আক্তার, রিবা আক্তার, নাইমা আক্তারসহ ২০/৩০ জন স্বদলবলে পৃথক হামলা করেছে বলে ভিকটিম হাজি মনির আহমদের অভিযোগ।

বুধবার সন্ধ্যায় জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এই বয়োবৃদ্ধের সাথে কথা হয়। তখনো তার মাথা থেকে রক্ত ঝরছিল।

ঘটনার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মনির আহমদ বলেন, সীমানার ঘেরাবেড়া ভাঙা নিয়ে বাড়াবাড়ি ও বিতর্কের সুত্র ধরে বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় ইদ্রিসের ছেলে হাসান, হোসেন, আশরাফ, নাইমাসহ আরো কয়েকজন মিলে আমার ছেলে রিয়াজ উদ্দিনকে পথে ধরে ব্যাপক মারধর করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যাই। ইতোমধ্যে ২০/৩০ জন লোক বাড়িতে গিয়ে আমাদের হুমকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে আমার বয়োবৃদ্ধ স্ত্রী রাবেয়া বেগমের উপর হামলা করে। তাকে উদ্ধার করতে গেলে আমার মাথায় দায়ের কোপ মারে।

একই ঘটনায় আহত কলেজ ছাত্রী সেলিনা আক্তারের সাথে দেখা হয় সদর হাসপাতালের বেড়ে।

তার অভিযোগ, আমার পিতাকে কুপাঘাতের পর মাটিতে পড়ে গেলে দৌঁড়ে যায় ছোট ভাই মনির উদ্দিন। এ সময় সশস্ত্র হামলায় আহত হয়। ভাইয়ের আর্তচিৎকার শোনে এগিয়ে গেলে আমাকেও এলোপাতাড়ি মারধর করে। খবর পেয়ে ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার সিরাজুল হক যান।

এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছে, কলেজ ছাত্রী সেলিনা আক্তারকে কটাক্ষ করতো অভিযুক্তরা। বিষয়টি ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল কাশেমকে অভিযোগ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনাটির জন্ম দেয়। সেই সঙ্গে জমির বিরোধও যোগ হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা চায় এলাকাবাসী।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্থানীয় চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান সিকদার বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। পারিবারিক বিরোধ থেকে ঘটনাটি ঘটেছে। উভয় পক্ষকে সমাধান করে দেবে বলে জানিয়েছে। তবে, একপক্ষের আহত মনির আহমদ হাসপাতাল থেকে ফোনে যোগাযোগ করেছে।