আলমগীর মানিক, রাঙামাটি
পাহাড়ের শিশুদের অপুষ্টি, অন্ধত্ব প্রতিরোধ, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত, হাম ও ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুর হার হ্রাসসহ বিভিন্ন ধরনের রোগে মৃত্যুর হার হ্রাসকল্পে চলতি মাসের ৫ থেকে ১৯ জুন তারিখের মধ্যে রাঙামাটি জেলার সর্বমোট ৮২ হাজার ৪৯৬ শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াবে জেলার স্কাস্থ্য বিভাগ কর্তৃপক্ষ। সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনানুসারে সারাদেশের ন্যায় রাঙামাটির সর্বত্রই জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের আওতায় এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানিয়েছেন রাঙামাটির সিভিল সার্জন ডাঃ বিপাশ খীসা। ২রা জুন বুধবার দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন সিভিল সার্জন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রাঙামাটিতে ৮২ হাজার ৪৯৬ শিশুকে এই ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তার মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৯ হাজার ২৫১ জন শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৭৩ হাজার ২৪৫ শিশুকে একটি লাল রংয়ের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। রাঙামাটি পৌর এলাকার ৯ ওয়ার্ডে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ১ হাজার ১৬১ শিশু ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৯ হাজার ৬৬৮ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
এ সময় পুরো জেলায় মোট ১ হাজার ৩১৫টি কেন্দ্র খোলা থাকবে। স্বেচ্ছাসেবী থাকবে ২ হাজার ২০১ জন। মাঠকর্মী থাকবে ৪২৯ জন এবং প্রথম সারির তদারককার হিসেবে ২৪১ জন কর্মী উক্ত ক্যাম্পেইনে দায়িত্ব পালন করবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কোন শিশু যাতে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাসসুল খাওয়ানো থেকে বাদ না পড়ে সে লক্ষ্যে সর্বত্র মাইকিং করে জনগণকে জানান দেয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে রাঙামাটির সিভিল সার্জন ডা. বিপাস খীসার সভাপতিত্বে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নীতিশ চাকমা, প্রবীণ সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমেদ ও মাহাবুব আহামেদ বক্তব্য রাখেন। এসময় রাঙামাটি জেলায় কর্মরত ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।