মোহাম্মদ হোসনে,হাটহাজারী:
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ট্রমা সেন্টার উদ্বোধন হলেও নেই কোনো চিকিৎসক। প্রায় ১২ কোটি টাকা দিয়েনির্মাণ করা হয় ট্রমা হাসপাতাল। উদ্বোধন করেন
হাটহাজারী থেকে নির্বাচিত সাংসদ সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এম,পি। গত রবিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২১ ইং ট্রমা হাসপাতাল উদ্বোধন করা
হলেও হাসপাতালের জন্য এখনো কোনো জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি। নেই প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও। এসব কারণে এখনো চালু করা যায়নি ১০ শয্যার
বিশেষায়িত এই হাসপাতাল। স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন ট্রমা সেন্টার এ নিমাণ করা হচ্ছে (ক) ৫ তলা ভিত্তিকসহ ৩ তলা বিশিষ্ট হাসপাতাল ভবন। (খ) ৫তলা ভিত্তিকসহ ৩ তলা বিশিষ্ট কনসালন্টেন্ট/মেডিকেল অফিসার ডরমিটরী(প্রতি ফ্লোরে ২ইউনিট করে মোট ১০টি ইউনিট। (গ) ৫তলা ভিত্তিকসহ ৫তলা বিশিষ্ট ষ্টাফ ডরমিটরী(প্রতি ফ্লোরে ২টি মোট ১০ ইউনিট।
কাজ শুরু তারিখ থেকে মোট ১৮ মাসে সময়ে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। ট্রমা সেন্টারটি উত্তর চট্টগ্রামের হাটহাজারী,রাউজান, ফটিকছড়িবাসীসহ পার্বত্য এলাকার লোকজন চিকিৎসা সেবা পাবে। চট্টগ্রাম-হাটহাজারী,খাগড়াছড়ি রাঙ্গামাটি সড়ক মহাসড়কে প্রায় প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটছে। এখানে সরকারী স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে ৫০ শর্য্যা হাসপাতাল থাকলেও দুর্ঘটনা কবলিত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেওয়ার মতো প্রয়োজনীয় জনবল ও ব্যবস্থা নেই। তাৎক্ষণিক চিকিৎসা
সেবা পেতে ব্যর্থ হয়ে অনেকেই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছে। এসব রোগীর জন্য ট্রমা সেন্টার প্রয়োজন ছিল।
সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এম.পি সড়ক দুর্ঘটনা আহতদের চিকিৎসার্থে হাটহাজারীতে ট্রমা সেন্টার নির্মাণের উদ্যোগ নেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু সৈয়দ মো. ইমতিয়াজ হোসাইন বলেন,নির্ধারিত জনবল ও যন্ত্রপাতি না থাকায় হাসপাতালের কার্যক্রম
শুরু করা যাচ্ছে না।
ইউএনও রুহুল আমিন বলেন, চট্টগ্রাম-রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন বিপুলসংখ্যক পর্যটক। এ কারণে মহাসড়কটিতে প্রচুর গাড়ি চলাচল করে। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত লোকজন যাতে সময়মতো চিকিৎসাসেবা পান, সে জন্য চট্টগ্রাম-সাথে দুই পার্বত্যএলাকার মাঝামাঝি স্থানে ট্রমা সেন্টারটি
নির্মাণ করা হয়েছে। অচিরেই হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম শুরু হবে বলে তিনি আশা করেন।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সাজন ডাঃ সেখ ফজলে রাব্বী বলেন,এ ট্রমা সেন্টারটি চালুর ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।করোনা কালিন
সময়ে দায়িত্বশীলরা ব্যস্ততার কারনে ট্রমা হাসপাতালটি এখনো চালু করা হয়নি। অচিরেই জনবল নিযোগ হবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।