ফেসবুক কর্ণার:
বাংলাদেশের জনগণ আর সরকার কাদের জন্য এত ত্যাগ আর অর্থ ব্যয় করছেন?
একমাত্র মানবিক বিবেচনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় ২০১৭ সালে নির্যাতিত নাফ নদীতে ভাসমান মায়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের সাময়িক আশ্রয় দানে বর্ডার খুলে দেয়া হয়। পরবর্তীতে প্রায় ৮ হাজার একর সংরক্ষিত বনভূমি উজাড় করে নিজ ভূমি থেকে বিতাড়িত ১০ লক্ষ মানুষকে আশ্রয় দেয়া, ৩৫০ বিলিয় অর্থ ব্যয় করে উন্নত মানের গৃহ নির্মান করে দিয়ে ভাসানচরে সাময়িক আশ্রয় দেয়া হয়। হোস্ট কমিউনিটির সার্বিক সহযোগিতা। বিশ্বে কোথাও কি নজির আছে?
তারপরও দেখছি তাদের নেতাদের মধ্যে নূন্যতম কৃতজ্ঞতা বোধ নেই! কয়দিন আগে ভাসান চরের রোহিঙ্গাদের বিদেশী দাতা সংস্থার প্রতিনিধিদের সামনে সরকারের সমালোচনা, কিছু উশৃংখল রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভ, ইটপাটকেল দিয়ে ভবনের জানালার কাঁচ ভাঙচুর, আমাদের চরমভাবে হতাশ এবং মর্মাহত করেছে।
তোমাদের কোন সমস্যা থাকলে আশ্রয়দাতা বাংলাদেশ সরকারকে তাদের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের মাধ্যমে বলতে পারতে। একটা দেশের আশ্রয়ে থাকলে আরও সহনশীল হতে হবে।
বিদেশিদের সামনে এদেশের সরকার তথা বাংলাদেশের জনগণকে হেয় প্রতিপন্ন করার কোন অধিকার তোমাদের নেই। তোমাদের কারা তাদের কি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ইন্ধন জোগাচ্ছে তা আমরা বুঝেও না বুঝার ভান করে আছি শুধু দেশের এবং জাতীয় স্বার্থে। তা নাহলে আমার দেশের মিডিয়া পাওয়া আগে ঘটনার ৩০ মিনিটের মধ্যে কিভাবে তোমাদের (রোহিঙ্গা) প্রতিনিধি বিদেশে কিভাবে ভিডিও পায় এবং তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে। মাজার বিষয় কোথাও তারা দেখাতে পারেনি শৃঙ্খলা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের উপর নিপীড়ন করছে।
আমাদের অনুরোধ সরকারকে একদিকে যেমন রোহিঙ্গা ইসুতে আরও কৌশলী হতে হবে অন্যদিকে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার উপর নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রযোজনে মাননিক সাড়াদানে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র নেপালের নীতিমালা পর্যালোচনা করে দেখা যেতে পারে। মনে রাখতে হবে এটা একটি দীর্ঘ মেয়াদি সমস্যা। ভবিষ্যতে আমাদের বহুমাত্রিক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।

Abu Murshed Chowdhury -এর ফেসবুক টাইমলাইন থেকে।