ইকরাম চৌধুরী টিপু, এনটিভি, কক্সবাজারঃ
নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ভাসানচর থেকে দুই পরিবারের ‌১০ রোহিঙ্গা সদস্য দালালের মাধ্যমে ট্রলারে করে পালিয়ে এসেছে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ২১ দিনের মাথায় তাদের শনাক্ত ও আটক করতে সক্ষম হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) শনিবার বিকেলে মধুরছড়া এলাকা থেকে রোহিঙ্গাদের আটক করে ট্রানজিট ক্যাম্পে পাঠিয়েছে।

এপিবিএন-১৪ এর কমান্ডার (পুলিশ সুপার পদমর্যাদা) নাঈমুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, গত ৮ মে নোয়াখালীর এক দালালের মাধ্যমে ১৫ হাজার টাকার চুক্তিতে ভাসানচর থেকে ট্রলারে করে নোয়াখালীর একটি জায়গায় এসে প্রথমে আশ্রয় নেয়। পরে সেখান থেকে তারা গোপনে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আত্মীয়-স্বজনের ঘরে এসে অবস্থান নেয়। ভাসানচরে যাওয়ার আগে তারা কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৩ এর নয় নম্বর ব্লকের বাসিন্দা ছিল। তারা ৩ মার্চ ভাসানচরে গিয়েছিল।

কমান্ডার নাঈমুল হক জানান, খবর পেয়ে বিকেলে ক্যাম্পের মাঝিদের সহায়তায়  পালিয়ে আসা এনায়েত উল্লাহ ও কেফায়েত উল্লাহকে আটক করে। পরে তাদের পরিবারের অন্য সদস্যদের আটক করা হয়। ৫টার দিকে সবাইকে তাদের ট্রানজিট ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

নাঈমুল হক আরও বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, ভাসানচর তাদের ভালো না লাগায় দালালের মাধ্যমে পালিয়ে এসেছে।’

এ ব্যাপারে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ শামসুদ দৌজা বলেন, ‘যারা ভাসানচর থেকে পালিয়ে এসেছে তাদের যেখানেই পাওয়া যাবে আটক করে ভাসানচরেই পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’