এম বশির উল্লাহ, মহেশখালী:
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে মহেশখালী উপজেলায় চিংড়িঘের, বসতবাড়ি, বেড়িবাঁধের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, যার আনুমানিক ক্ষতি ১০ কোটি টাকা।

জানা গেছে, মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি, ধলঘাটা, কুতুবজোম ও পৌরসভায় ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে ১৫০ বাড়ি সম্পুন্ন নষ্ট এবং সাড়ে ৪শ বাড়ি বাড়ি আংশিক ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলার কালারমারছড়ার, হোয়ানক , কুতুবজুম ও শাপলাপুরের ইউনিয়নের ২১৫০ হেক্টর জমিতে ১৫০ টি চিংড়ি ঘের জোয়ারের পানিতে তলীয় গেছে সেই সব চিংড়িঘেরের কোটি কোটি টাকার মাছ তলিয়ে গেছে। ধলঘাটা এবং মাতারবাড়ির চর্তুর পাশে ৪ কিলোমটিার বেড়িবাঁধ সম্পুন্ন বিলিন হয়ে গেছে, এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৭ কিলোমিটার কাচাঁ সড়ক , ২০টি নলকূপ ও ৫টি পুকুর জোয়ারের পানিতে বিধ্বস্ত হয়েছে ।

এদিকে জোয়ারের পানিতে চিংড়ি ঘেরের মাছ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চাষিরা। এদের কেউ আবার ধার-দেনা বা ঋণ নিয়ে মাছের চাষ শুরু করেছিলেন। কিন্তু ঘূণিঝড়ের কারণে তাদের মাথায় হাত পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত অনেকেই ঘুরে দাঁড়াতে পারছেন না।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মর্কতা রাশেদুল ইসলাম জানান, ক্ষয়-ক্ষতির তালিকা আমরা ঊধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সহায়তা এলে আমরা তা বিতরণ শুরু করবো।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজুর রহমান জানান, আমরা ইতিমধ্যে উপজেলার দূর্গম এলাকাগুলি পরির্দশন করে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে চাল ও নগদ টাকা বিতরণ শুরু করেছি, এবং তালিকা তৈরী করে দ্রুত তাদের মাঝে র্পযাপ্ত পরিমান ত্রাণ বিতরণ করা হবে।