বার্তা পরিবেশক:
চকরিয়ার জামায়াত নেতা মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে আরো তিন কোটি ২৮ লাখ ২৬ হাজার টাকার চেক প্রতারণা মামলা দায়ের হয়েছে। ২৭ মে চট্রগ্রাম মেট্রো ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়। চকরিয়ার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ম্যানগ্রোভ এ্যাসেট কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে বহিষ্কৃত এমডি মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে এই মামলাটি দায়ের করে। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান মানিক ও এমডি সোহরাব মোস্তফা রিকন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, বিগত ২০১১ সালে ৫০ জন শেয়ার হোল্ডার নিয়ে চকরিয়া ম্যানগ্রোভ এ্যাসেট প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটির এমডি ছিলেন চকরিয়া জামায়াতের আমীর, ডুলাহাজারার কাটাখালীর মোহাম্মদ হোসেনের পুত্র মোজাম্মেল হক। কিন্তু এমডি মোজাম্মেল স্বেচ্ছাচারিতা, সীমাহীন দূর্নীতি-অনিয়মের মাধ্যমে কোম্পানীর লভ্যাংশের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে চলতি সনের ১৯ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার কক্স হিলটন হোটেলে অনুষ্ঠিত কোম্পানীর সাধারণ সভায় উপস্থিত শেয়ার হোল্ডাররা সর্বসম্মত ভাবে পুকুর চুরির দায়ে মোজাম্মেলকে কোম্পানীর এমডি ও শেয়ার হোল্ডারের পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিস্কার করা হয়। সভায় সরকারী অডিটে মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে কোম্পানীর ছয় কোটি ৫৬ লাখ ৫২ হাজার টাকা আত্মসাৎ প্রমাণিত হয়। পরে মোজাম্মেল বিপুল টাকা আত্মসাতের বিপরীতে কোম্পানীর কাছে তিন কোটি ২৮ লাখ ২৬ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন। এই চেক ব্যাংক কর্তৃক ডিজনার হলে যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে কোম্পানী এই মামলা দায়ের করে।

এদিকে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চকরিয়া দক্ষিণ জামায়াতের আমীর মোজাম্মেল হক জানান- এসব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। মামলার বিষয়টি আমার জানা নেই। তিনি জানান-তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবসা সংক্রান্ত কয়েকটি মামলা থাকলেও রাজনৈতিক কোন মামলা নেই।

বিষয়টির ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ফরিদ উদ্দিন ফারুকী জানান-এটি ম্যানগ্রোভের আর্থিক লেনদেনের বিষয়। আপনার কাছ থেকে শুনেছি মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

এদিকে জামায়াত নেতা মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে তিন কোটি ২৮ লাখ ২৬ হাজার টাকা চেক প্রতারণা মামলার খবরে চকরিয়া -ডুলাহাজারার সর্বত্র ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।