সিবিএন ডেস্ক:
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসারে প্রভাবে উত্তাল সাগরে ডুবে যাওয়া পাথরবোঝাই লাইটারেজ জাহাজ এমভি সানভ্যালি ৪ নামের জাহাজের ১২ নাবিক অথৈ সাগরে ডুবে যাচ্ছিল। রাতভর অনিশ্চিত অপক্ষোর পর পরের দিন দুপুরে তাদের ত্রাহা হয়ে হাজির হয় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। মধ্য সাগরে তাদের উদ্ধারে পতেঙ্গা থেকে উড়ে যায় দুটি শক্তিশালী হেলিকপ্টার। উত্তাল মধ্য সাগরে ডুবতে ডুবতে মৃত্যুর প্রহর গুণতে থাকা ওই ১২ নাবিককে জীবিত উদ্ধার করে নিয়ে আসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর দুটি হেলিকপ্টার।

বুধবার দুপুর সোয়া একটার পর তাদের বঙ্গোপসাগরের নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরের কাছাকাছি ৯ নম্বর বয়া, নতুন চ্যানেল আক্তার বানু ডোবা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। দুপুর দুটার দিকে তাদেতর বিমান বাহিনীর জহুরুল হক ঘাটিতে নিয়ে আসা হয়।

এরআগে সকালে জাহাজ ডুবির খবর পেয়ে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর উদ্ধার অভিযানে বিমান বাহিনীর সহযোগিতা চায়। সেই চাহিদামতে উদ্ধার অভিযানে নামে বিমান বাহিনী।

বিমানবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর দুইটি এডব্লিউ-১৩৯ সার্চ এন্ড রেসকিউ হেলিকপ্টারের মাধ্যমে নাবিকদের উদ্ধার করা হয়। বিমান বাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন মীর মাহমুদ হোসেনের সার্বিক তত্ববধায়নে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে খবর পেয়ে ঢাকার তেজগাঁও থেকে বিমানবাহিনীর ১০৯ সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ ইউনিটের গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবু সালেহ মো. মান্নাফির নেতৃত্বে হেলিকপ্টার দুইটি বেলা দেড়টার দিকে প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজটি শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। এরপর ১২ নাবিককে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও সফলতার সঙ্গে উদ্ধার করে আনা হয়।

দুর্ঘটনার কবলে পড়া লাইটারেজ জাহাজ এমভি সানভ্যালি ৪ এর ড্রাইভার আশরাফ সিভয়েসকে বলেন, ‘ ‘মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে চট্টগ্রামের মাঝিরঘাট থেকে পাথর বোঝাই করে ঢাকার হাসনাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় লাইটারেজ জাহাজটি। পথিমধ্যে সাগরের ৯ নম্বর বয়া, নতুন চ্যানেল আক্তার বানু ডোবা এলাকায় পৌঁছলে রাত ৮টার দিকে ঝড়ো কবলের পড়ে জাহাজটি। প্রচণ্ড বাসাত ও ঢেউয়ের তোড়ে জাহাজে পানি প্রবেশ করে। এসময় ৯ নম্বর ভয়াতেই অবস্থান করে উদ্ধার সহযোগিতা চাওয়া হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এরকম অনিশ্চিয়তার মধ্য দিয়ে উত্তাল মধ্য সাগরে রাত পার করার পর সকালে খবর পাই বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার উদ্ধারে আসবে। এরপর বুধবার ১টার দিকে বিমান বাহিনীর দুটি হেলিকপ্টার আমাদের ১২জনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। বর্তমানে আমরা সবাই সুস্থ আছি আর বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতেই আছি।’

বিমান বাহিনীর বিমানবাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার সাইফুল আলম জানান, পাথর বোঝাই একটি জাহাজ এমভি সানভ্যালি ৪ নামে একটি লাইটারেজ জাহাজ সাগরের ভাসানচরে ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে। এরপর খবর পেয়ে নৌ বাহনী বিমান বাহিনীর সহযোগিতা নেয়। পরে বুধবার দুপুর ২টার দিকে সাগর থেকে উদ্ধার করে দুটি হেলিকপ্টারে করে বিমান বাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটিতে নিয়ে আসা হয়। -সিভয়েস