মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাবে বুধবার ২৬ মে’র রাতের সামুদ্রিক জোয়ারেও কক্সবাজারের সমগ্র উপকূলীয় এলাকা দিনের জোয়ারের মতো প্লাবিত হয়েছে। স্বাভাবিক জোয়ারের জোয়ারের পানির উচ্চতা ৪/৫ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে যেসব উপকূলীয় এলাকার বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে গেছে, সেসব লোকালয় জোয়ারের পানিতে আবারো সয়লাব হয়ে গেছে। কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ২৭ মে’র সকালের জোয়ারের একইভাবে পানির উচ্চতাও বৃদ্ধি পাবে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো: মামুনুর রশীদ জানিয়েছেন, জেলার উপকূলীয় এলাকা বিশেষ করে মহেশখালী, কুতুবদিয়া, মাতারবাড়ী, সেন্টমার্টিনে এখনো নিরাপদ আশ্রয়ে না যাওয়া লোকজনকে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সিপিবি’র স্বেচ্ছাসেবকেরা সমন্বিতভাবে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে গেছেন। আশ্রয় কেন্দ্র সমুহে শুকনো খাবার, খিচুড়ি ও প্রয়োজনীয় ত্রাণ সহয়তা দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে সকল উপজেলায় পর্যাপ্ত নগদ অর্থ ও জিআর প্রেরণ করা হয়েছে। সেগুলো ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণ করাও শুরু হয়েছে। জলোচ্ছ্বাস প্রবণ উপকূলীয় এলাকার প্রায় লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ায় সামুদ্রিক উঁচু জোয়ারের পানিতে আর খুব একটা ক্ষয়ক্ষতি হবেনা বলে জেলা প্রশাসক মো: মামুনুর রশীদ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।