আবদুল মজিদ, চকরিয়া:
চকরিয়ায় বালুচিরা ৩৫০ একর বিশিষ্ট চিংড়ি ও মৎস্য ঘেরে গুলিবর্ষণ করে ঘের পরিচালক ও কর্মচারীদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে বেধম মারধর করে ৬জনকে আহত করেছে। লুট করে নিয়ে গেছে ৩লক্ষাধিক টাকার মাছ ও মালামাল।

বুধবার ভোররাত (২৬মে) রাত ২ টার দিকে উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের পালাকাটা মৌজার বালুচিরা ঘোনায় ঘটেছে এ ঘটনা।

এঘটনায় চিরিঙ্গা ইউনিয়নের সওদাগর ঘোনা গ্রামের আলহাজ্ব নুরুল কবিরের পুত্র আলহাজ্ব নুরুল আমিন (৪৯) বাদী হয়ে এদিন থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেছে।

এতে আসামী করা হয়েছে; পশ্চিম সওদাগর ঘোনার মো: সোলাইমানের পুত্র কামাল হোছন পেটুয়্যা (৩০) ও আনোয়ার হোছন পুতুইয়্যা (২৮), সওদাগর ঘোনার মৃত তৈয়ম গোলালের পুত্র নবীর হোছন (৪৫), আবু ছিদ্দিকের পুত্র জিয়াবুল করিম (২৫), মৃত আহামদ ছোবাহানের পুত্র কফিল উদ্দিন (৩৮), নুরুজ্জামার পুত্র নেজাম উদ্দিন (২৪) সহ অজ্ঞাত নামা আরো ১৫/২০ জনকে।

অভিযোগে জানাগেছে, চকরিয়ার পালাকাটা মৌজার ৩৫০ একর বিশিষ্ট বালুচিরা ঘোনা চিংড়ি ও মৎস্য প্রকল্পে অভিযুক্তরা পূর্বশত্রুতার আক্রোশে বন্দুক, ধারালো দেশীয় অবৈধ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঢুকে তান্ডব শুরু করে। এসময় অস্ত্রের মুখে ঘের পরিচালক নুরুল আমিন ও ঘেরে দায়িত্বরত আবুল কালাম (৫৭), হাজী কামাল হোছন (৫৫), নুর মোহাম্মদ (৫৫), আবুল কালাম (৬০), রুহুল আমিন (৪৭)কে জিম্মি করে বেঁধে রেখে বেধম জখম করে। এসময় ৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে ঘের থেকে ৭মন বাগদা চিংড়ী ও লইল্যা চিংড়ী, ৩টি বিহিঙ্গী জাল, ১২টি ঝাঁকি জাল, এক বস্তা চাউলসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ও সরঞ্জামাদীসহ ৩লাখ ১০ হাজার টাকার মাছ ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

ঘটনার সময় বাংলাদেশ পুলিশ সেবা কেন্দ্রের ৯৯৯’তে ফোন করলে চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক কামাল হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছলে ঘের লুটকারীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ বাঁধা অবস্থায় ঘেরমালিক ও কর্মচারিদের উদ্ধার করে।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকের মো: যুবায়ের বলেন, চিংড়ি ও মৎস্যঘেরে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। ঘটনার বিষয়ে নুরুল আমিন কর্তৃক দেয়া অভিযোগটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সত্যতা পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, তিনি গুলি বর্ষণের ঘটনা অস্বীকার করেন।