ফরিদুল আলম দেওয়ান, মহেশখালী:
মহেশখালীতে নগদ আড়াই লাখ টাকাসহ বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে আনুমানিক ৫ লক্ষ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বুধবার (২৬ মে) সকাল ১০ টায় বড় মহেশখালী ইউনিয়নের জাগিরাঘোনা গ্রামের মৃত জকরিয়া প্রকাশ কালা মাঝির পুত্র কায়সার উদ্দিন রোকনের বাড়ীতে ঘটনাটি ঘটেছে।
তবে, শত্রুতামূলকভাবে বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে ধারণা অনেকের।
প্রত্যক্ষদর্শী ও মহেশখালী ফায়ার ষ্টেশন সূত্রে জানায়, সকালে বৃষ্টির সময় কায়সার উদ্দিন রোকনের বাড়ীর উত্তর পাশে ছনের আঁঠিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। সংবাদ পেয়ে সকাল ১০ টা ২২ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাষ্টার পুলক কান্তি সরকারের নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিস টিম দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণ আনায় এবং বৃষ্টি থাকায় পাশের বাড়ীগুলি আগুন থেকে রক্ষা পায়।
আগুন নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে ষ্টেশন মাষ্টার পুলক কান্তি সরকার জানায় ছনের আঁঠি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে বাড়ীটিতে প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার নগদ টাকা ও প্রায় ৫ লক্ষ টাকার মূল্যের পুড়ে যাওয়া মালামাল উদ্ধার করা হয়।
বাড়ীর মালিক মৃত জাকারিয়ার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা জানায়, রমজানপরবর্তী ছয়রোজার সেহেরী খেয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। হঠাৎ করে প্রতিবেশী লোকজন আগুন আগুন বলে চিৎকার দিলে তার ঘুম ভাঙ্গে। এরপর দেখতে পান, বসতবাড়ীতে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।
তিনি দাবি করেন, স্থানীয় কোন একটি সঙ্গবদ্ধ চক্র তার বসতবাড়ী ও দোকানের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে পূর্ব শত্রুতামূলক ভাবে আগুন দিতে পারে। প্রসংগত উল্লেখ্য যে, আঞ্জুমান আরার স্বামী মৃত মোঃ জকরিয়া প্রকাশ কালা মাঝি বঙ্গোপসাগরে ফিশিং ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে জলদস্যুদের হাতে ১২ জন মাঝি মাল্লা হত্যার ঘটনায় নিহত হয়। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে স্থানীয় একটি চক্র তার স্বামীর রেখে যাওয়া মূল্যবান বাড়ী ভিটার জমির উপর কূ-দৃষ্টি পড়ে বলে গৃহকর্ত্রী আঞ্জুমান আরার অভিযোগ।