সিবিএন ডেস্ক:
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তাণ্ডবে পশ্চিমবঙ্গে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে মঙ্গলবার রাত থেকেই কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলোতে শুরু হয়েছে বজ্রসহ ভারী বৃষ্টিপাত। এ ঘটনায় ওই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে দুইজন মারা গেছে বজ্রাঘাতে। অপরজন মারা গেছে দেয়াল ধসের ঘটনায়। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
ওড়িশায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি জানিয়েছেন, ১৫ লাখ মানুষকে নিরাপদে সরানো হয়েছে। আর ওড়িশার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উপকূলীয় এলাকা থেকে ২ লাখের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এদিকে বুধবার সকালে ডুবে যায় দিঘার একাধিক এলাকা। মঙ্গলবার রাত থেকেই দিঘায় বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। সমুদ্রে ঢেউয়ের উচ্চতাও বাড়ছিল। সময় যত এগিয়েছে তত বৃষ্টির তীব্রতা বেড়েছে। সেই সঙ্গে দিঘা ও নিউ দিঘায় গার্ডরেল ছাপিয়ে পানি ঢুকতে শুরু করে। তার ফলে বুধবার সকালেই পানিতে ডুবে যায় মূল শহর। এমনকি দিঘা থানাও ডুবে গেছে।
অনেক আগে থেকেই দিঘায় উপকূলীয় এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু শহরের বাসিন্দারা বাড়িতেই ছিলেন। যদিও দিঘায় ভেতরে পানি ঢুকতে শুরু করায় অনেকেই আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে একটি শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। পানি ঢুকেছে সৈকত শহরের অনেক হোটেলেও। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নামানো হয়েছে সেনা।
এর আগে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে ওড়িশায় আঘাত হানতে শুরু করে। রাজ্যের বালেশ্বরের কাছে ধামড়ায় ঘণ্টায় ১৩০-১৪০ কিমি বেগে আছড়ে পড়তে শুরু করেছে এটি। আগামী ৩ ঘণ্টা ধরে এই চলবে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহওয়া অফিস।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।