ইমাম খাইর, সিবিএন:
ঘুর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর ঝুঁকি থেকে কক্সবাজার মুক্ত বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারি আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান।

তিনি বলেন, কক্সবাজারে ৩ নং সতর্ক সংকেত বহাল রয়েছে। সাগরের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৬ ফুট পর্যন্ত বাড়তে পারে। এর প্রভাবে সাগর এখন খুবই উত্তাল।

আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান জানান, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এখন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর হয়ে ভারতের উপকূলে আছড়ে পড়েছে। ধারণা করা সময়ের কিছু আগেই বুধবার (২৬ মে) সকাল ১০টা থেকে ১১টা নাগাদ ঝড়টি ভারতের উড়িষ্যায় আছড়ে পড়ে। এছাড়া ১২টা নাগদ ধামারা বন্দর ও পশ্চিমবঙ্গের দিঘা অতিক্রম করতে শুরু করবে ঝড়টি। ঝড়ের কেন্দ্রের কাছে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ১২০ থেকে বেড়ে এখন ১৫০ কিলোমিটার।

এদিকে, ঘুর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্রে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক গুন বেড়েছে।

সমুদ্র থেকে সৃষ্টি হওয়া ঢেউয়ের শেষ আছড়টা পড়ছে সোজা মেরিন ড্রাইভ সড়কে।

ইনানী রয়েল টিউলিপ সংলগ্ন সাগরতীরে নির্মিতব্য নৌবাহিনীর জেটিঘাটটি পানিতে প্রায় ডুবে গেছে।

সাগরপাড়ের গাইডওয়ালে চড়ছে জোয়ারের পানি। কিছু অংশে ভেঙে পড়ছে সাগরতীরের মাটি।

বুধবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে বৃষ্টি আরম্ভ হয়। বাতাস বইলেও তীব্রতা খুব বেশি নয়।

পুরো আকাশ এখনো মেঘাচ্ছন্ন-গোমুট অবস্থায়। কোথাও বড়ধরণের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া য়ায় নি।

সেন্টমার্টিনের দৃশ্য

সেন্টমার্টিন দ্বীপের জাহাজ/ট্রলারে উঠা-নামার একমাত্র মাধ্যম জেটিঘাটের পল্টুনের বেশ কিছু অংশ ভেঙ্গে গেছে। মূল জেটির প্রায় অংশও ভাঙ্গনের কবলে।

দ্বীপের ৩নং ওয়ার্ডের ডেইলপাড়া জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। চার ফুট পানিতে দশ থেকে ১২টি বাড়ি তলিয়ে গেছে।

এদিকে, টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের বেড়িবাঁধের কাজ শেষ হতে না হতেই ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের কবলে পড়েছে।

সাগরের জোয়ারের পানির তীব্র ধাক্কা পড়ছে ব্লকে। ইতোমধ্যে দ্বীপের পশ্চিম পাশের বেশ কিছু ব্লক ছুটে সরে পড়েছে।

শাহপরীরদ্বীপ

পানির ধাক্কায় বেড়িবাঁধ যে কোন সময় ছিঁড়ে যেতে পারে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছে।

দ্বীপরক্ষার একমাত্র ভরসা এই বেড়িবাঁধ ধসে পড়লে জীবন ঝুঁকিতে পড়বে সেখানকার প্রায় ৪০ হাজার মানুষ।

আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ বিশেষ সতর্কবার্তায় বলা হয়, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এখন চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৫২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে। একইভাবে কক্সবাজার থেকে ৫২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা বন্দর থেকে ৩২০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা বন্দর থেকে ৩৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে।