বার্তা পরিবেশক:

কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়াছড়া এলাকায় অন্যের জমি জবরদখল করতে ভোর-সকালে হামলা চালিয়েছে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসি। ওই হামলায় আরিফ মো. তারেক নামের এক যুবকসহ অন্তত ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে তারেকের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ মে) সকাল ৬টার দিকে উত্তর নুনিয়াছড়া জামে মসজিদের উত্তর-পশ্চিম পাশে বিরোধীয় জমিতে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় পুলিশ ইয়াছমিন আক্তার (৩৫) ও আলেয়া বেগম (৪৫) নামের দুই মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে।

হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত আরিফ মো. তারেকের বাম হাতের দু’টি হাড় ভেঙ্গে যায় এবং ধারালো দা’য়ের আঘাতে মাথায় মারাত্মক জখম হয়েছে। আহত অন্য দুইজন হলেন আবদুল্লাহ আল মামুন (৩০) ও মোঃ সুমন (২৪)।

এই ঘটনায় জমির মূল মালিক এনামুল হক বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় অজ্ঞাত ৫ জনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা প্রচেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা জমা দিয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

মামলার এজাহার সূত্র মতে, হামলাকারিরা দীর্ঘদিন ধরে উত্তর নুনিয়াছড়ার নুরুল হক ওরফে হেডক্লার্ক নুরুল হকের ছেলে এনামুল হক ও তার ভাই-বোনদের ওয়ারিশী জমি জবরদখলের চেষ্টা করে আসছিল। মঙ্গলবার (২৫ মে) সকালে আবদুল জলিলের ছেলে মনিরুল হক লেডু ও শামসুল আলম টিটু এবং মৃত নুরুল হকের ছেলে নুর হোসেন ওরফে পুতুইয়ার নেতৃত্বে ১০-১৫ জনের একদল সন্ত্রাসি সশস্ত্র অবস্থায় জমির দখল নিতে হামলা চালায়। ওই সময় মামলার বাদীর ভাতিজা আরিফ মো. তারেক, ভাগিনা আবদুল্লাহ আল মামুন ও ভাজিতা মোঃ সুমন বাধা দিতে গেলে হামলাকারিরা তাদের উপর হামলে পড়ে।

এজাহার মতে, সন্ত্রাসিদের হামলায় আরিফ মো. তারেক, আবদুল্লাহ আল মামুন ও মোঃ সুমন গুরুতর আহত হন। তারেকের বাম হাতের হার দু’টি ভেঙ্গে যায় এবং দা’য়ের আঘাতে মাথায় প্রায় ৪ ইঞ্চি গভীর জখম হয়।

বাদী এনামুল হক দাবি করেন, আরিফ মো. তারেককে হত্যার জন্যই তার উপর সন্ত্রাসিরা হামলা করে। কিন্তু এলাকাবাসি এগিয়ে তারা পালিয়ে যায়।

এই হামলায় জড়িত মৃত নুরুল হকের ছেলে নুর হোসেন ওরফে পুতুইয়া (৩২), মৃত আবদুল জলিলের ছেলে শামসুল আলম টিটু (৩৮), মনিরুল হক লেডু (৫০) ও এনামুল হক ওরফে এনামবাজী (৪০), শফিউল আলমের স্ত্রী রোজিনা আক্তার (৩৫), লাঠিবুইজ্জার ছেলে শফিউল আলম (৪৫), মনিরুল হক লেডুর ছেলে মো. কামাল (২৮), শামসুল আলম টিটুর স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার (৩৫), এনামুল হক ওরফে এনামবাজীর ছেলে আলেয়া বেগম (৪৫), মৃত আবদুল জলিলের স্ত্রী লায়লা বেগম ওরফে লালুসহ (৫৫) অন্তত ১৫ জনকে আসামি করা হয়।

এদিকে মঙ্গলবার বিকালে অভিযান চালিয়ে হামলায় জড়িত শামসুল আলম টিটুর স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার ও এনামুল হক ওরফে এনামবাজীর স্ত্রী আলেয়া বেগমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

অপরদিকে গুরুতর আহত আরিফ মো. তারেককে প্রথমে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু শারিরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।