আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গাজায় ধ্বংসস্তূপের ওপর এখন ঘুরে দাঁড়ানোর সংগ্রাম করতে হচ্ছে সেখানকার অধিবাসীদের। তারা ইসরায়েলি হামলায় নিহত প্রিয়জনদের দাফনের পাশাপাশি নিজেদের বিধ্বস্ত বাড়িঘর নিয়েও চিন্তিত।

কেউ কেউ ভাবছেন, হয়তো কোনো একদিন ইসরায়েলের হামলায় তারাও নিহত হবেন।

গাজায় মুগাজি শিবিরের ১৭ বছর বয়সী ইব্রাহিম আল-তালা তার আত্মীয় ও বন্ধুদের চিরবিদায় জানিয়েছেন ফেসবুকের মাধ্যমে। গাজায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার সময় তার ঘরের পাশে বোমা পড়েছিল। সেসময় তার মনে হয়েছে, এটাই বুঝি তার ও স্বজনদের জীবনের শেষ দিন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘আমার এলাকায় বেশ কয়েকটি জায়গায় ৪০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র এসে পড়েছে। আগের যুদ্ধগুলোতে সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছিল। এবার তা ছিল না। বোমা ও শেলের শব্দ এত বিকট যে তা বলে বোঝাতে পারব না।’ গাজার সুজাইয়া এলাকার রিম হানি (২৫) তার মা-বাবা ও পাঁচ ভাইবোনের সঙ্গে থাকেন। গত ১৪ মে তাদের বাসা থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে বোমা পড়ে।

গণমাধ্যমে তিনি বছেন, ‘আমিও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের বিদায় বার্তা দিয়ে রেখেছি। তাদের অনুরোধ করে বলেছি, আমি মারা গেলে তারা যেন আমাকে স্মরণ করে এবং আমার জন্যে দোয়া করে।’

পূর্ব জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদ চত্বরে ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সংঘর্ষের জেরে গত ১০ মার্চ রাত থেকে অধিকৃত এই উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের স্থাপনায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। টানা ১১ দিনব্যাপী ফিলিস্তিনের ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি সংঘর্ষে গাজায় ২৪৮ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৬৬ জন শিশু রয়েছে।

গত শুক্রবার ইহুদিবাদী ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে টানা ১১ দিন সংঘর্ষের পর স্থানীয় সময় দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ইতিমধ্যে কার্যকর হয়। সংঘাতে ইসরায়েল ও হামাস উভয় পক্ষ নিজেদের জয় দাবি করেছে।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলির বিমান হামলা এবং গোলার আঘাতে ১৯০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের রকেট হামলায় ইসরায়েলে দুইজন শিশুসহ ১২ জন নিহত হয়েছে।