অনলাইন ডেস্ক: মানুষের জীবন-জীবিকার কথা চিন্তা করে দূরপাল্লার গণপরিবহণ ও হোটেল-রেস্তোরাঁ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘গণপরিবহণ ও হোটেল-রেস্তোরাঁ খুলে দেওয়ার অর্থ এটা নয় যে দেশ থেকে করোনা দূর হয়ে গেছে। বরং এখন সবাইকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং নিয়মিত মাস্ক পরতে হবে।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আগামী এক সপ্তাহ আমরা সার্বিক পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করব। পরিস্থিতি বিবেচনা করে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আরও বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই সবকিছু বন্ধ রয়েছে। এতে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। মানুষের জীবন-জীবিকার বিষয়টিও সরকারের বিবেচনায় রয়েছে। সবকিছু বিবেচনা করেই নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

করোনার সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আজ রোববার মাঠপ্রশাসন সমন্বয় অধিশাখার উপসচিব মো. রেজাউল ইসলাম সাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

আন্তঃজেলাসহ সব ধরনের গণপরিবহণ আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়। তবে, অবশ্যই যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মাস্ক পরিধানসহ সব স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।

এ ছাড়া আসন সংখ্যার অর্ধেক খালি রেখে হোটেল-রেস্তোরাঁ খোলা রাখা যাবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ চলমান থাকায় এর আগে গত ১৬ মে এক প্রজ্ঞাপনে আজ ২৩ মে পর্যন্ত এক সপ্তাহ চলাচলে বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল।

-এনটিভি