বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী আরবশাহ্ বাজারে কামাল হোসাইন নামের এক ব্যক্তিকে মাছ বিক্রি করতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (২১) মে বিকাল ৩ ঘটিকার সময় রাজাখালী আরবশাহ্ বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় কামাল হোসাইন বাদী হয়ে আলহাজ্ব এ.জে.এম গিয়াসুদ্দিন চৌধুরী ওরফে গিয়াসুদ্দিন মিয়ার বিরুদ্ধে পেকুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,শুক্রবার (২১ মে) বিকাল ৩টায় মাছ বিক্রির উদ্দেশ্যে দুটি ইঞ্জিন চালিত ফিশিং বোটে করে প্রায় ১৫ লক্ষাধিক টাকার মাছ নিয়ে পুঁইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ৩নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ কামাল হোসাইন আরবশাহ্ বাজার যান। এসময় রাজাখালী আরবশাহ্ বাজারের পাহারাদার নুরুন্নবী ও রিদওয়ান এসে মাছ আনলোড করতে বাঁধা প্রদান করেন। মাছ বিক্রি করতে কেন তাকে বাঁধা প্রদান করা হয়েছে জানতে চাইলে বাজারের পাহারাদার নুরুন্নবী ও রিদওয়ান বলেন, ‘গিয়াসুদ্দিন মিয়ার হুকুম বা নির্দেশে বাঁধা প্রদান করতে বাধ্য হলাম।’ কামাল হোসাইন তাদের কথা না মেনে মাছ আনলোড করতে চাইলে তাকে মাছ নিয়ে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন নুরুন্নবী ও রিদওয়ান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আলহাজ্ব এ জে এম গিয়াসুদ্দিন চৌধুরী মুঠোফোনে বলেন, ‘এগুলো বাজে কথা। আমি কাউকে কিছু বলিনি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। আপনি খোঁজ নিয়ে দেখেন আমার বিরুদ্ধে কারো সাথে কোন দ্বিধা-দ্বন্দ্ব আছে কিনা। বাজারের মধ্যে এরকম কারো বাঁধা আছে নাকি? আচ্ছা আমি ফোন দিয়ে খোঁজখবর নিয়ে দেখতেছি।’

এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) কানন সরকার মুঠোফোনে বলেন, আমি বাজার কমিটির লোকজনকে ডেকেছি থানায়। কালকে সকালে আসবে। আসলে কথা বলবো। বাজারে যাতে অপ্রীতিকর কোন ঘটনা না ঘটে, সে দিকে সবসময় নজর আছে। রাতে টহল পুলিশ থাকবে।’