নিজস্ব প্রতিবেদক:
জমি সংক্রান্ত সামান্য বিরোধকে কেন্দ্র করে খুরুশ্কুলে এক শিক্ষক ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে খুরুশ্কুল মামুন পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, খুরুশ্কুল তেতৈয়া তাফহীমুল কোরআন আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক আমানুল হক, তার স্ত্রী শামসুন্নাহার (৪০), পুত্র আইমান আহমদ আনন, ভাতিজা তারেকুল ইসলাম রিয়াদ ও ভাবি তাহেরা বেগম। তাদের মধ্যে শামসুন্নাহারের আঘাত মারাত্মক হয়েছে। তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শিক্ষক আমানুল হক অভিযোগ করেছেন, প্রতিবেশি রাহমত সালামের সাথে জায়গা সংক্রান্ত একটি বিরোধ ছিলো। প্রায় চার বছর আগে সালিশের মাধ্যমে এই বিরোধ মীমাংসা হয়ে যায়। সালিশে রাহমত সালাম অভিযোগ দিয়েও হটে যায়। এই নিয়ে সেই থেকে রাহমত সালাম ও তার ভাইয়েরা শিক্ষক আমানুল হকের উপর ক্ষুব্ধ ছিলেন।

অন্যদিকে সীমানা দেয়াল সোজা ও সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য আরেক প্রতিবেশি সেলিম উদ্দীন অল্প জমি শিক্ষক আমানুল হককে স্বইচ্ছায় ছেড়ে দেয়। ফলে চারিদিকে সীমানা দেয়াল তৈরি করে দেন এই শিক্ষক। এরপর অনেক দিন অতিবাহিত হয়ে যায়। এর মধ্যে শিক্ষক আমানুল হকে ভিটায় ঢুকে পড়া অল্প জমি নিজেদের দাবি করে ওই রাহমত সালাম। এটা দাবি করে তারা সম্প্রতি আদালত থেকে ১৪৪ ধারার নিষেধাজ্ঞাও আনে। এর প্রেক্ষিতে স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে আগামি শনিবার বৈঠকের বসা কথা ছিলো।

শিক্ষক আমানুল হক জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তিনি ভিটার মধ্যে কাজ করছিলেন। এসময় আকস্মিক রাহমাত সালামের নেতৃত্বে আমান উল্লাহ, আবুল কাশেম, রবিউল, জামাল উদ্দীন, শহীদুল্লাহ, রাহমদ উল্লাহ মিলে লোহার রড নিয়ে শিক্ষক আমানুল হকের উপর হামলা চালায়। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন তার স্ত্রীসহ অন্যারা। তারা এগিয়ে আসলে তাদের মারধর করে হামলাকারীরা। লোহার রড ও কিল-ঘুষির আঘাতে গুরুতর আহত হন স্ত্রী শামসুন্নাহার। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যরাও আহত হয়েছেন। তাদেরকেও চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

শিক্ষক আমানুল হক বলেন, আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসায় হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। না হয় আরো নৃশংস হামলা করা হতো।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে খুরুশ্কুল ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জসিম উদ্দীন জানান, শালিসের দিন ধার্য্য থাকলেও তা অমান্য হামলা করা হয়েছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনকে জানিয়েছি।