বিশেষ প্রতিবেদক:

ফিলিস্তিনি মুসলমানদের নির্বিচারে হত্যা ও বায়তুল মোকাদ্দাসে গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ মানববন্ধন অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে কক্সবাজারের মহেশখালী কালারমারছড়া বাজারে মানববন্ধন বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সমাবেশ থেকে ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিশ্বমানবতাকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। সেইসাথে স্পাইডের পণ্য বয়কটের আহ্বান জানান সমাবেশ থেকে বক্তারা।

বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, যুবসেনা,আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত বাংলাদেশ, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ, ১২ রবিউল আউয়াল ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন কমিটি, ইসলামী ছাত্রসেনা মহেশখালী উত্তর ও কালারমারছড়া শাখা আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে এলাকার শত শত সুন্নি জনতা অংশগ্রহণ করে।

বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট কক্সবাজারের মহেশখালী উত্তর শাখার সভাপতি মাওলানা দলিলুর রহমান আল কাদেরী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন, কালারমারছড়া মইনুল ইসলাম আলিম মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা মুবিনুল হক, বক্তব্য রাখেন, ইসলামিক ফ্রন্ট মহেশখালী উত্তর শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল হামিদ, মাওলানা হাফেজ আমানুল্লাহ।

সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন ইসলামী যুবসেনা কক্সবাজার উত্তর শাখার আহ্বায়ক মাওলানা ফরিদুল আলম রেজবী। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, হাফেজ মাওলানা সেলিম উল্লাহ, হাফেজ মোঃ জুবায়ের, মোঃ তৌফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন,ইসরাইলি আগ্রাসন ও বর্বরোচিত হামলা সর্বযুগের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে, সাধারণ জনগণ নারী-শিশু বৃদ্ধ‌ ও নিরস্ত্র সাধারণ মুসলমানদের উপর পবিত্র সংযমের মাস মাহে রমজানে ইফতার চলাকালীন সময়ে বর্বরোচিত হামলা এবং আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের নিরস্ত্র মুসলিমদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে মানবাধিকার লংঘন করেছে।

বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনি মুসলমানদের উপর নির্যাতন এবং হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়ে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন, ঔষধ ও চিকিৎসা সামগ্রী প্রেরণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান বক্তারা।

সভায় বক্তারা বিশ্বে ভয়াবহ সংঘাতময় পরিস্থিতি এড়াতে ইসরায়েলের আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র সমূহের মধ্যে ঐক্যমত গঠন অপরিহার্য। পাশাপাশি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা স্বীকৃতি প্রদানে ১৩৮ টি দেশের সম্মতিকে সমর্থন জানিয়ে কয়েক দশকের সংকট নিরসনে জাতিসংঘের মাধ্যমে কার্যকর ভূমিকা আশা প্রকাশ করেন।

সমাবেশ থেকে বক্তারা ইসরাইলি পণ্য বয়কট করার আহবান জানান বিশ্ববাসীকে।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল কালারমারছড়ার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।