মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

চলমান কোভিড-১৯ মহামারিতে হাসপাতালে সংক্রমণ প্রতিরোধে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চালু হয়েছে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সুবিধা।

মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মাহবুুবুর রহমান, আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি (আইসিআরসি) কক্সবাজার অফিস এর প্রধান মানিশ দাস এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া। কক্সবাজার জেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে সংক্রমণ প্রতিরোধে টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম তৈরিতে সহায়তার অংশ হিসেবে আইসিআরসি এটি বাস্তবায়ন করেছে।

৫০ শয্যার রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে কক্সবাজার জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম কোভিড-১৯ আইসোলেশন সেন্টার, পাশাপাশি উপজেলার সাড়ে ৩ লাখের বেশি মানুষকে স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে আসছে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। উদ্বোধন হওয়া মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সুবিধা হাসপাতালে জীবাণু সংক্রমণ, ধারালো মেডিকেল বর্জ্যে আহত হওয়া এবং পরিবেশগত ঝুঁকি হ্রাস করবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে নতুনভাবে নির্মিত প্ল্যান্টটি কোভিড কালীন সময়সহ ১০ বছর পর্যন্ত  স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করতে করবে। এটি পরিচালনা করবে রামু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের  প্রশিক্ষিত কর্মীরা।

কোভিড-১৯ মোকাবেলায়  সহায়তার অংশ হিসেবে আইসিআরসি রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের সাথে কাজ শুরু। এরই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘ মেয়াদ হাসপাতালে জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে সহায়তা দিচ্ছে আইসিআরসি। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে হাসপাতালের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সাথে সংশ্লিষ্টদের আইপিসি কাজে প্রশিক্ষণ এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত স্টাফ এবং রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যবিধির উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আইসিআরসি কক্সবাজার অফিসের প্রধান মানিশ দাস বলেন,‘‘মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমাধান এবং সংক্রমণ রোধে সহায়তার অংশ হিসেবে আইসিআরসি কক্সবাজার জেলার ৫টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সুবিধা তৈরি এবং পরিচালনায় সহায়তা করেছে। আমরা এখন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে এগুলোর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব হস্তান্তর করছি এবং এই প্রকল্পগুলির স্থায়িত্ব নিশ্চিতে কাজ করছি।”

আইসিআরসি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ,উখিয়া, চকরিয়া,রামু, পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সুবিধা নির্মাণ করেছে,যেগুলো জেলার ১০ লাখেরও বেশি মানুষকে সেবা দিচ্ছে। যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে আগত রোগী, স্বাস্থ্য কর্মী এবং দর্শনার্থীদের সংক্রমণের ঝু্ঁকি কমাতে সাহায্য  করেছে।