আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
দুই মন্ত্রীসহ তৃণমূল কংগ্রেসের তিন শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতারের সংবাদে মধ্য কলকাতার নিজাম প্যালেসস্থ সিবিআই কার্যালয়ে হাজির হয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, ‘আমাকেও গ্রেফতার করুন’।

সোমবার (১৭ মে) স্থানীয় সময় বেলা পৌনে ১১টায় তিনি সিবিআই কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। আনন্দবাজার পত্রিকার দেওয়া শেষ খবর পর্যন্ত মমতা ব্যানার্জি সেখানেই রয়েছেন।

এর আগে, সকালেই মমতার মন্ত্রিসভার দুই প্রভাবশালী মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়সহ তৃণমূল বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র এবং তৃণমূল ত্যাগী বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই।

এদিকে, তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতাদের গ্রেফতারের ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। দলের শীর্ষ নেতাদের এইভাবে গ্রেফতার হতে দেখে অনেকেই কোভিডবিধি ভেঙে চলমান লকডাউন আইন উপেক্ষা করে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন। এমনকি অনেককেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই’র কলকাতা দফতরের নিজাম সামনেও বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।

অন্যদিকে, নেতাদের গ্রেফতারের খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কালিঘাটের বাড়ি থেকে সোজা চলে যান নিজাম প্যালেসে। এই গ্রেফতার বেআইনি বলে দাবি করে সিবিআই দফতরেই অবস্থান নিয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে অনিন্দ রাউত নামের একজন তৃণমূল নেতা স্থানীয় গণমাধ্যমে বলেছেন সিবিআই দফতরের গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তার নেতাদের গ্রেফতার করার আগে তাকেও গ্রেফতার করতে হবে। না হলে তিনি সিবিআই দফতর থেকে যাবেন না।

সোমবারই (১৭ মে) নারদা কেলেঙ্কারির চার্জশিট দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। ২০১৪ সাল নারদা ডটকমের পক্ষ থেকে সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েল একটি স্টিং অপারেশন করেন। সেখানে দেখা যায়, তৃণমূলের নেতা মন্ত্রী ও সাংসদ ক্যামেরার সামনে ঘুষ নিচ্ছেন। ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটের আগেই তা প্রকাশ করা হলে দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় ওঠে।