আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির দ্বিতীয় বছর চলছে। প্রথম বছরের চেয়ে মহামারির দ্বিতীয় বছর আরও ভয়াবহ হবে বলে সতর্ক করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদ্রস আধানম গেব্রেয়াসুস। শুক্রবার (১৪ মে) ভারতের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি এ বিষয়ে সতর্ক করেন।

হু প্রধান বলেন, ‘ভারতের করোনা পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগের। সেখানে প্রতিদিন সংক্রমণ, হাসপাতালে রোগী ভর্তি ও মৃত্যু বাড়ছে। ডব্লিউএইচও ভারতের আবেদনে সাড়া দিয়েছে এবং হাজার হাজার অক্সিজেন কনসানট্রেটর, মাঠ পর্যায়ের করোনা হাসপাতালের জন্য তাবু, মাস্ক এবং অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ করেছে। ভারতকে যারা সহযোগিতা করছে তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’

ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩ লাখ ২৬ হাজার ৯৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৮৯০ জনের। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ২ কোটি ৪৩ লাখ ৭২ হাজার ২৪৩ জনের শরীরে। মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৬৬ হাজার ২২৯ জনের।

করোনার ভয়াবহ এমন পরিস্থিতির মধ্যেও ভারতে জরুরি অবস্থার মতো কোনো নিয়ন্ত্রিত অবস্থা নেই বলে উল্লেখ করেছেন গেব্রেয়াসুস। বলেন, ‘নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড এবং মিশরেও করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। এসব দেশেও হাসপাতালে রোগীর সংখ্যার বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ আর অনেক অঞ্চলেও এখনো উচ্চ সংক্রমণ রয়েছে। এ ছাড়া আফ্রিকার অনেক দেশেও উচ্চ সংক্রমণ বিরাজ করছে।’

‘এসব দেশ করোনা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা জোরদার করেছে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের যথাসম্ভব সব ধরনের সহায়তা দেয়া হচ্ছে।’

করোনায় এ পর্যন্ত ৩০ কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন জানিয়ে গেব্রেয়াসুস বলেন, ‘আমরা মহামারির দ্বিতীয় বছরে আছি। এই বছর আগের বছরের চেয়েও ভয়াবহ হবে।

তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘করোনায় মৃত্যু রোধে ভ্যাকসিন সরবরাহও একটি বড় চ্যালেঞ্জ, যা জীবন ও জীবিকা রক্ষা করে। এর সমন্বয় সাধনই মহামারি থেকে মুক্তির একমাত্র পথ।’

এদিকে বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এখন পর্যন্ত সারাবিশ্বে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১৬ কোটি ২৫ লাখেরও বেশি মানুষ। মারা গেছেন ৩৩ লাখ ৭১ হাজারের বেশি।