সিবিএন ডেস্কঃ
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (নাসা) নভোযান (রোভার) ‘পারসিভিয়ারেন্স’ এরই মধ্যে মঙ্গল গ্রহের লালমাটিতে নানা কীর্তি গড়েছে। এবার মঙ্গলে হাজিল হলো তার এক দোসর। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, আজ শনিবার মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করেছে চীনা নভোযান ‘তিয়ানওয়েন-১’-এর অংশ ‘জুরং’ নামের রোভার। গত ফেব্রুয়ারি থেকে মঙ্গলের কক্ষপথে ঘুরছে এই মহাকাশযান। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

মঙ্গলের উত্তরাঞ্চল ‘ইউটোপিয়া প্লানিশিয়া’ থেকে নমুনা সংগ্রহ করবে ছয় চাকা-বিশিষ্ট রোবট ‘জুরং’।

মঙ্গলে অবতরণের মতো কঠিন কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করায় চীনা নভোযানের এই কীর্তিকে গুরুত্বপূর্ণ অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে চীন মঙ্গলে কোনো রোভার অবতরণ করাতে সফল হলো। ‘জুরং’ শব্দের অর্থ ‘অগ্নিদেব’ বা ‘গড অব ফায়ার’।

এখন সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে অন্তত ৯০টি মঙ্গলীয় দিবস সেখানে অবস্থান করবে জুরং। এই দীর্ঘ সময়ে নানা নমুনা সংগ্রহ করবে ওই রোভার। এটি খতিয়ে মঙ্গলপৃষ্ঠের গঠন দেখবে। বরফের সন্ধান করবে। যদি কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নজরে আসে তবে সেটিকে বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণও করবে জুরং। মঙ্গল অভিযান নিয়ে অত্যন্ত উচ্চাশা রয়েছে চীনের। দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থার কর্মকর্তা চি ওয়াংয়ের দাবি, এ পর্যন্ত মঙ্গলে যত অভিযান হয়েছে, তার মধ্যে তাঁদের এই মিশনই সেরা হতে যাচ্ছে। সৌরজগতের চার নম্বর গ্রহের আবহাওয়া ও ভূপৃষ্ঠ থেকে শুরু করে খুঁটিনাটি বিষয়ে চীন পর্যবেক্ষণ চালাবে বলে দাবি চি ওয়াংয়ের। এর ফলে লালগ্রহ সম্পর্কে আরও নতুন তথ্য জানা যাবে।

কয়েক বছরের মধ্যে মহাকাশ অভিযানে অনেকগুলো মাইলফলক ছুঁতে চায় চীন। সেই উচ্চাকাঙ্ক্ষী অভিযানের প্রথম ধাপ গত ফেব্রুয়ারিতেই পেরিয়েছিল দেশটি। তখনই পরিকল্পনা করা ছিল যে, প্রায় মাস মঙ্গলের কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে ‘তিয়ানওয়েন-১’-এর রোভার আলাদা হয়ে গ্রহটির পৃষ্ঠে অবতরণ করে সেখানে জীবনের চিহ্ন খোঁজার চেষ্টা করবে।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে মঙ্গলে সফলভাবে কাঙ্ক্ষিত অবতরণ করে নাসার রোভার ‘পারসিভিয়ারেন্স’। মঙ্গলের বুকে প্রথম রোভার নেমেছিল ১৯৯৭ সালে। এরপর একে একে সেখানে পা রাখল ‘জুরং’সহ  ছয়টি রোভার।