সিবিএন ডেস্ক:
অক্সিজেন সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের তিরুপাতি শহরের এক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) থাকা ১১ করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলের ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে রুইয়া হাসপাতালের কর্মীরা রোগীদের জীবন বাঁচাতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন। সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

করোনাভাইরাসের মহামারির প্রাণঘাতী দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করছে ভারত। আর এই সময়ে মেডিক্যাল অক্সিজেন সংকট দেশটির একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর আগে দিল্লির কয়েকটি হাসপাতালেও অক্সিজেন সংকটে করোনা রোগীদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

সোমবার রুইয়া হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীর স্বজনদের অভিযোগ প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে অক্সিজেন সংকট ব্যাহত হয়। তবে চিতোর জেলা কালেক্টর এম হরি নারায়নের দাবি অক্সিজেন সিলিন্ডার আবারও পূর্ণ করতে মাত্র পাঁচ মিনিট লাগে আর তাতেই প্রেসার কমে যায়।

হরি নারায়ন বলেন, ‘পাঁচ মিনিটের মধ্যে অক্সিজেন সরবরাহ ঠিক করা হয় আর এখন সবকিছু স্বাভাবিক আছে। আমরা অতিরিক্ত সিলিন্ডার মজুত করেছি আর ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। চিকিৎসা কর্মীরা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় বড় ধরনের বিপর্যয় এড়ানো গেছে।‘

তামিল নাড়ু থেকে অক্সিজেন পৌঁছাতে বিলম্ব হওয়ায় এই সংকট শুরু হয় বলে জানান হরি নারায়ন। তিনি জানান ওই হাসপাতালে প্রায় এক হাজার করোনা রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে এর মধ্যে প্রায় সাতশ’ রোগীই আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। রোগীদের দেখভাল করতে তাৎক্ষণিকভাবে প্রায় ৩০ জন ডাক্তার ছুটে যান।

১১ রোগীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগন মোহন রেড্ডি। এই ঘটনা তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ভারত জুড়ে অক্সিজেন সরবরাহ তদারকি করতে গত সপ্তাহে ১২ সদস্যের ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স গঠন করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

করোনাভাইরাসের মহামারিতে ভারতের দুই কোটি ৬৬ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে সোমবারই শনাক্ত হয়েছে তিন লাখ ৬৬ হাজার। অন্ধ্র প্রদেশে এখন পর্যন্ত ১২ লাখ ৮৭ হাজার রোগী শনাক্ত হয়েছে।