বার্তা  পরিবেশক:

কক্সবাজার সৈকত পাড়স্থ হোটেল কল্লোলের অংশীদার (মালিক) মোহছেনা আকতার বকুল ও তার স্বামীকে ভাড়াটিয়া ইমরান হাসান ও তার লোকজন কর্তৃক অবরুদ্ধের  অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী মালিক অবরুদ্ধ বকুল পুলিশের জরুরী সেবা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিয়ে নিজে অসহায়ত্বের কথা জানান। শনিবার (৮ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কক্সবাজার সদর মডেল থানা এসআই আতিকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ওই হোটেলের ৫০৫ নং রুম থেকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে তাদেরকে উদ্ধার করেন।

হোটেল মালিক বকুল অভিযোগ করেন, হোটেলের ৫০৫ নাম্বার কক্ষের তালা খুলে তাদেরকে উদ্ধার করলে তাদের সাথে পুলিশ খারাপ আচরণ ছাড়াও ভাড়াটিয়া ইমরান হাসানের ইন্দনে উল্টো তাদেরকে থানায় ধরে এনে পুলিশ হাজতখানায় আটক রাখার চেষ্টা করে। অবশ্য পরে সন্ধ্যার দিকে তাকে ছেড়ে দেয় বলে জানান বকুল।

জানা গেছে, সাগরপাড়স্থ হোটেল কল্লোলের মালিক বীরমুক্তি যোদ্ধা ইদ্রিস আহমদের মেয়ে পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত মালিক মোহছেনা আকতার বকুল। পিতার মৃত্যুর পর প্রাপ্ত অংশসহ অপরাপর অংশীদারগন জে এন্ড জেট গ্রুপের পরিচালক উত্তরা ঢাকার ফজলুর রহমানের ছেলে ইমরান হাসান গত ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ১০ বছরের জন্য সেলামী ও মাসিক ভাড়া নেন।
ভাড়া চুক্তিপত্রের বাইরে চুক্তির আগে থেকে হোটেল মালিকরা তিনটি রুম ব্যক্তিগত ব্যবহার করে আসছে। এছাড়াও একটি রুম চুক্তিপত্রে উল্লেখ থাকলেও অপর দুটি রুম ব্যবহারের মৌখিকভাবে চুক্তি ছিল। পরে চুক্তিপত্রে সংশোধনের জন্য বলা হলে ভাড়াটিয়া তা অগ্রাহ্য করায় মালিক পক্ষ ভাড়াটিয়াকে চুক্তিপত্র সংশোধনের জন্য ওকিল নোটিশও দেন।
কল্লোল হোটেলের অংশীদার মোহছেনা আকতার বকুল জানান, গত শুক্রবার তার ব্যক্তিগত রুমটি সংস্কারের জন্য যান। কিন্তু হোটেল ভাড়াটিয়া লোকজন ওই রুমের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং পানির লাইন বন্ধ করে দিয়ে হোটেল ভাড়াটিয়া লোকজন জরুরী সেবা ৯৯৯ নাম্বারে ফোনদিয়ে হোটেল দখলের মিথ্যা তথ্য দেন পুলিশকে।
পরে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কক্সবাজার সদর মডেল থানার এসআই দস্তগীর গিয়ে উল্টো বকুলকে শাসান। পরে সন্ধ্যায় উভয় পক্ষকে থানায় আসার নির্দেশ দিয়ে আসেন।
হোটেল অংশীদার বকুল বলেন, পুলিশের কথামতো সন্ধ্যায় থানায় উপস্থিত হলে সেখানে উভয় পক্ষ নিয়ে একটা শান্তিপূর্ণ সমাধান হয় এবং তাকে তার কক্ষটি ব্যবহারের জন্য বলা হয়।
পুলিশের কথা ও নিজের মালিকানার রুমটি সংস্কারের উদ্দেশ্যে শনিবার দুপুরে হোটেল কক্ষটিতে যান।
তিনি বলেন, আমি ও আমার স্বামী হোটেল কক্ষের ভিতর ঢুকি। পরে আমার স্বামী শান্ত রুমের বাহিরে যাওয়ার সুযোগে ভাড়াটিয়া ইমরান হাসানের লোকজন আমাকে রুমে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে আমরা কোন উপায় না পেয়ে পুলিশের জরুরী সেবা ৯৯৯ নাম্বারে ঘটনাটি জানালে শনিবার বিকালে কক্সবাজার সদর মডেল থানা এসআই আতিকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে রুমে তালা খুলে আমাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

তিনি বলেন, রবিবার দুপুরে উভয় পক্ষ নিয়ে বৈঠকের কথায় শনিবার সন্ধ্যায় আমাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
হোটেল অংশীদার বকুল আক্ষেপের সাথে বলেন, ভাড়াটিয়াদের এধরনে হয়রানীর বিচার চাইতে গিয়ে উল্টো  হয়রানী দুঃখজনক। আমি ন্যায় বিচারের জন্য প্রশানের উর্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এব্যাপারে এসআই আতিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হোটেল মালিক ও ভাড়াটিয়াদের বিরোধ নিয়ে রবিবার দুপুরে বৈঠকের কথা রয়েছে। তাদেরকে স্বস্ব কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসতে বলা হয়েছে।