ইমাম খাইর, সিবিএন:
শুক্রবার (৭মে) রাত প্রায় সাড়ে ৯টা। দোকান-মার্কেট-শপিংমলে প্রচুর ক্রেতা সমাগম। পথেও রয়েছে ভীড়, যেন জনসমুদ্র। ঠিক এমন মুহূর্তে হাজির হলেন ম্যাজিস্ট্রেট। সাথে একদল পুলিশও। অবস্থা দেখে ক্রেতারাতো থ। ব্যবসায়ীরাও হতভম্ব। কিচ্ছু করার নেই। সরকারি বিধিনিষেধ না মানায় দোকানির হাতে পৌঁছে গেছে ম্যাজিস্ট্রেটের সাক্ষর করা জরিমানার রশিদ।
স্বাস্থ্যবিধি অমান্য ও রাত ৯টার পরেও দোকান খোলা রাখার অপরাধে একে একে ১১ ব্যবসায়ীকে গুনতে হয়েছে জরিমানা। যা টাকার অংক দাঁড়ায় ৩৭,৫০০। তবে, অভিযান দেখে অনেকে দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছে। আর ক্রেতারাও নিরাপদ অবস্থানে থেকে ম্যাজিস্ট্রেট চলে যাওয়ার পথ চেয়ে আছে।
শুক্রবার রাত ৯টার দিকে শহরের লালদিঘীর পাড় থেকে অভিযান আরম্ভ হয়। ক্রমান্বয়ে কৃষি অফিস সড়ক, এন্ডারসন রোড, পানবাজার সড়ক, সমবায় সুপার মার্কেটে অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মুরাদ ইসলাম।
শুক্রবার ছুটির দিন হলেও সরকারি বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মাঠে নামে জেলা প্রশাসনের মোবাইলকোর্ট। এসময় ব্যবসায়ীদের জরিমানার পাশাপাশি সতর্ক করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মুরাদ ইসলাম। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে ক্রেতা-বিক্রেতা সবাইকে অনুরোধও জানান তিনি।
অভিযান প্রসঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মুরাদ ইসলাম বলেন, ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে চলমান বিধিনিষেধের মধ্যেও মার্কেটসহ সব দোকানপাট খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার।
তবে শর্ত ছিল, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। যদিও বেশির ভাগ ক্রেতা ও দোকানি তোয়াক্কা করছেন না স্বাস্থ্যবিধির।
যে কারণে শুক্রবারও অভিযানে নামতে হলো।
তিনি বলেন, সরকারী বিধি নিষেধ অমান্য করায় ও দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ২৬৯ ধারায় মোবাইলকোর্টে মাধ্যমে ১১ দোকানদারকে ৩৭,৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
করোনাকালে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রয়োজনে প্রশাসন আরো কঠোর হবে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মুরাদ ইসলাম।