আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

গতবছর বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারির শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১৫ কোটি ৫৮ লাখ ১৩ হাজার ৫২৬ জন, মারা গেছেন ৩২ লাখ ৫৪ হাজার ৮১৯ জন। বিশ্বজুড়ে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৯৩ লাখ ৪৬ হাজার ৫৬৫।

আক্রান্ত সক্রিয় করোনা রোগীদের মধ্যে মৃদু উপসর্গ রয়েছে ১ কোটি ৯২ লাখ ৩৬ হাজার ২৬৪ জনের, গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ১ লাখ ১০ হাজার ৩০১ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনয় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ লাখ ৩৪ হাজার ৬৬৫ জন, মারা গেছেন ১৪ হাজার ১৭০ জন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনায় দৈনিক আক্রান্ত, মৃত্যু ও সেরে ওঠা রোগীদের সংখ্যা বিষয়ক হালনাগাদ তথ্য প্রদানকারী ওয়েবসাইট করোনাভাইরাস ওয়ার্ল্ডোমিটার এই তথ্য জানিয়েছে।

করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মারাত্মক সংক্রামক এই রোগটিতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে তিন দেশ— যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও ব্রাজিল।
যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৩৩ লাখ ২১ হাজার ২৪৪ জন, মারা গেছেন ৫ লাখ ৯৩ হাজার ১৪৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬ হাজার ১২৯ জন, মারা গেছেন ৭৪৩ জন।

গুগল নিউজ-এ ঢাকা পোস্টের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।
গত এক বছরেরও বেশি সময়ে ভারতে এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২ কোটি ১০ লাখ ৭০ হাজার ৮৫২ জন, মারা গেছেন মোট ২ লাখ ৩০ হাজার ১৫১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৪ লাখ ১২ হাজার ৬১৮ জন, মারা গেছেন ৩ হাজার ৩৮২ জন।

দক্ষিণ আমেরিকা ও বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ দেশ ব্রাজিলে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ১ কোটি ৪৯ লাখ ৩৬ হাজার ৪৬৪ জনে, মারা গেছেন মোট ৪ লাখ ১৪ হাজার ৬৪৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৫ হাজার ৬৫২ জন, মারা গেছেন ২ হাজার ৭৯১ জন।

অবশ্য প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটির সঙ্গে লড়াই করে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাও কম নয়। মহামারি শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে সেরে উঠেছেন মোট ১৩ কোটি ৩২ লাখ ১২ হাজার ৮০ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম শনাক্ত হয় প্রাণঘাতী সার্স-কোভ-২ ভাইরাস, যা বিশ্বে সাধারণভাবে পরিচিতি পায় করোনাভাইরাস নামে। শনাক্ত হওয়ার তিন মাসের মধ্যে বিশ্বজুড়ে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাসটি।

যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ যদিও অভিযোগ করে আসছে, চীনের গবেষণাগারে এই ভাইরাসটি কৃত্রিমভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে, তবে চীন বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, প্রাকৃতিকভাবেই আবির্ভাব ঘটেছে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসটির।

গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে। ২০২০ সালের প্রথম সাত-আট মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাপক আক্রান্ত ও মৃত্যুর পর ওই বছরের শেষ দিকে কিছুটা কমে এসেছিল করোনা সংক্রমণ। এর মধ্যে বিভিন্ন কোম্পানির করোনা প্রতিরোধী টিকা বাজারে এসে যাওয়ায় গণটিকাদান কর্মসূচিও শুরু করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।

তবে গত মার্চ থেকে বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ফের ব্যাপকভাবে বাড়তে শুরু করেছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ পার করছে দক্ষিণ এশিয়া।