মাহাবুবুর রহমান:
কক্সবাজার শহরের সমিতি পাড়ায় ঝাউবাগানের সংক্ষিত বনের জমিতে প্রতিনিয়ত উঠছে নতুন নতুন ঘর। বন বিভাগ এবং সমিতির পাড়ার কিছু স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তি মিলে প্রতিনিয়ম গড়ে তুলছে এসব নতুন ঘর। প্রথমে দখল রাখা এসব ঘরে কিছুদিন থেকে পরে চড়াদামে বিক্রি করে দিয়ে আয় করছে বিপুল টাকা। এতে বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যোগসাজোস রয়েছে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।

কক্সবাজার শহরের সমিতি পাড়ার বাগানবাড়ি এলাকা এবং পশ্চিম কুতুবদিয়া পাড়া এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তি ঝাউবাগানের জমি দখল করে রাতাবাতি গড়ে তুলছে ঘরবাড়ি। সম্পূর্ন বাইরে থেকে টিন চালা এবং বাশেঁর বেড়া তৈরি করে এসব বাড়ি তৈরি করছে তারা। আবুল কালাম রোহিঙ্গা মনজুর,ইব্রাহিম সহ অনেকে গত কয়েক মাসের মধ্যে ঝাউবাগানের জমি দখল করে বাড়ি তৈরি করছে বলে জানা গেছে। এদিকে সমিতি পাড়া এলাকায় পূর্বে থেকে অন্তত কয়েকশত বাড়ি তৈরি করে দখলে আছে বহুলোকজন। এর মধ্যে অনেকে প্রথমে জমি দখল করলেও পরে কয়েক লাখ টাকার বিনিময়ে তা বিক্রি করে দেয়। এদিকে কয়েকজন স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে স্থানীয় বিট অফিসার লুৎফুর রহমান প্রতিটি বাড়ি থেকে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে এসব বাড়ি তৈরি করার অনুমতি দিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে স্থানীয় অনেক রাজনৈতিক নেতাও এই দখল প্রকৃয়ার সাথে জড়িত বলে জানা গেছে। এদিকে পশ্চিম কুতুবদিয়াপাড়া এলাকার নাজির হোসেন নামের এক ব্যাক্তির সাথে কথা বলে জানা গেছে,লকডাউনে সকল অফিস এখন বন্ধ,তাই সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু ব্যাক্তি উন্মোক্ত ঝাউবনের জমি দখল করে সেখানে নতুন বাড়ি তৈরি করছে। গত ১৫ দিনে অন্তত ১০ টি নতুন ঘরে তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন,বন বিভাগের লোকজনকে ম্যানেজ করে এগুলো করা হচ্ছে। আবার দখলকারীরা প্রথমে কিছুদিন থাকলেও পরে স্থায়ী হয়ে যায় পরে তারা পাশে আরেকটি ঘর তৈরি করে অনেক বড় জমি দখল করে। আবার কয়েক বছর পরে সেই জমি থেকে চড়াদামে বিক্রি করে। এভাবে সৈকতের জমি দখল হচ্ছে বছরের পর বছর।

এ ব্যপারে সদর রেঞ্জ অফিসার সমীর কান্তি দাশ বলেন,ঝাউবনের জমি দখল করে নতুন বাড়ি করছে এটা আমার জানা নেই,সঠিক ভাবে কোন জায়গায় কারা দখল করেছে এটা জানাতে পারলে আমি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।