সিবিএন ডেস্ক:
কলকাতার রাজভবনে স্বল্প পরিসরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আজ বুধবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয় বারের মতো শপথ নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান।

মমতা আজ একাই শপথ নিয়েছেন। জানা গেছে, দুই-একদিনের ভেতর মন্ত্রিসভার অন্যান্যরা শপথ নেবেন।

মহামারি করোনার কারণে শপথ অনুষ্ঠানটি স্বল্প পরিসরে আয়োজিত হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ব্রিগেড ময়দানে এই জয় পালন করা হবে বলে মমতা আগেই জানিয়েছেন।

শপথ নেওয়ার পরেই মমতা রাজভবন থেকে চলে যান রাজ্য সচিবালয় নবান্নে। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা এখন আমাদের সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার।

পশ্চিমবঙ্গে এই প্রথম কোনো পরাজিত প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন। ২০১১ সালে মমতা যখন প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন, তখন তিনি বিধানসভার সদস্য ছিলেন না। সেই ভোটে তিনি লড়েননি। এবারের ভোটে লড়ে তিনি বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হন। তবে, এর আগে পরাজিত প্রার্থী মন্ত্রী হওয়ার দৃষ্টান্ত পশ্চিমবঙ্গে আছে।

১৯৫২ সালে ভারতের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে প্রফুল্লচন্দ্র সেন হেরে যান। তিনি ডা. বিধানচন্দ্র রায়ের অন্তর্বর্তী সরকারের সিভিল ডিফেন্স (খাদ্য দপ্তরের তৎকালীন) দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন। হেরে যাওয়ার পর প্রফুল্লকে সেই সময়ের বিধান পরিষদ থেকে জিতিয়ে আবার মন্ত্রী করেছিলেন ডা. রায়। যদিও প্রফুল্লচন্দ্র এভাবে মন্ত্রী হতে চাননি, তবে, ডা. রায়ের অনুরোধ উপেক্ষা করাও শেষ পর্যন্ত তার পক্ষে সম্ভব হয়নি।

তবে আজ পর্যন্ত কোনো সদ্য পরাজিত ব্যক্তি ভারতের কোনো রাজ্যেই পরাজয়ের ঠিক পরেই আবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেননি। মমতাকে ভারতের সংবিধান অনুযায়ী আগামী ছয় মাসের ভেতরে বিধানসভার সদস্য হতে হবে। অনুমান করা যাচ্ছে, উত্তর চব্বিশ পরগনার খড়দহ কেন্দ্র থেকে মমতা উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এই আসনে জয়ী তৃণমূলের প্রার্থী কাজল সিংহ ভোটের ফল প্রকাশের আগেই করোনায় মারা গেছেন।