আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আট পর্বের ম্যরাথন ভোটগ্রহণ শেষে বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হতে যাচ্ছে আজ। গত দশ বছর ধরে রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যটি দখলে রাখতে পারবে, না কি তাদের হঠিয়ে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি প্রথমবারের মতো পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসবে, সেদিকেই এখন নজর সবার।

প্রাথমিক যে ফল এখন পর্যন্ত সামনে এসেছে তাতে সার্বিকভাবে এগিয়ে রয়েছে ক্ষমতাসীন তৃণমূল। তবে নিজ আসন নন্দীগ্রামে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে এখনো পিছিয়ে আছেন তৃণমূল সুপ্রিমো ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেস ১৮৭টি কেন্দ্রে এগিয়ে, বিজেপি ১০০টি কেন্দ্রে এবং বাম জোট পাঁচটি কেন্দ্রে। প্রথম কয়েক রাউন্ডের গণনা থেকে কিছুই অনুমান করা যায় না। এখনো অনেক রাউন্ড গণনা বাকি। ফলে অনেক প্রাথমিক ফলই বদলে যেতে পারে। তবে তৃতীয় রাউন্ডের গণনার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আট হাজারের বেশি ভোটে পিছিয়ে।

কেন্দ্রগুলিতে ১৪ থেকে ৩০ রাউন্ড পর্যন্ত গণনা হবে। ফলে এখনো অনেক সময় লাগবে। এবার করোনা পরিস্থিতিতে গণনা হচ্ছে বলে আগের থেকে অনেক বেশি সময় লাগতে পারে।

হুগলি, নদিয়া, মালদহ, মুর্শিদাবাদের মতো জেলায় তৃণমূল খুবই ভাল ফল করেছে। প্রাথমিকভাবে তৃণমূল প্রায় ৫০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। বিজেপি পেয়েছে ৩৬ শতাংশ ভোট। কংগ্রেস আড়াই ও সিপিএম সাড়ে তিন শতাংশ ভোট পেয়েছে।

প্রাথমিকভাবে ভিআইপি প্রার্থীদের মধ্য়ে এগিয়ে তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখপাধ্য়ায়, ফিরহাদ হাকিম ও মলয় ঘটক, মানস ভুঁইঞা, বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের ছেলে, কংগ্রেস নেতা ইশা খান চৌধুরি। পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডিতে বাম জোট এগিয়ে। পুরুলিয়ার বাকি অধিকাংশ কেন্দ্রে বিজেপি এগিয়ে।

ভোট গণনার সময় করোনা বিধি মানা হচ্ছে। করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখিয়ে গণনাকেন্দ্রে ঢুকতে হচ্ছে। সেখানে একবার ঢুকলে আর বেরতে দেয়া হচ্ছে না।