স্পোর্টস ডেস্ক:
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতের অবস্থা টালমাটাল। দেশটিতে প্রতিদিন সাড়ে তিন লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। শ্মশানগুলোতে লাশের সারি, হাসপাতালে স্বজনদের আহাজারি – এমন দৃশ্য এখন ভারতের নিত্য সঙ্গী।

ভারতের যখন এই কঠিন পরিস্থিতি তখন স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন ওঠে আইসিসির টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে। বেশ কিছুদিন ধরেই এই পরিস্থিতিতে ভারতে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে কথা উঠেছে বিভিন্ন মাধ্যমে। দেশটিতে করোনার প্রকোপ যেমন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে তাতে এই প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডেও। যার কারণে বিশ্বকাপের বিকল্প ভেন্যু হিসেবে আপাতত আরব আমিরাতকে ভাবনায় রেখেছে বিসিসিআই। কোনোভাবে ভারতে আয়োজন করা সম্ভব না হলে সুংযুক্ত আরব আমিরাতেই আইসিসির এই মেগা ইভেন্ট আয়োজন করবে বিসিসিআই।

চলতি বছর অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে হওয়ার কথা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। হাতে এখনো মাস ছয়েক বাকি। এই সময়ের মধ্যে ভারতের অবস্থার উন্নতি না হলে মরুর দেশেই বিশ্বকাপ আয়োজনের পথে হাঁটতে হবে স্বাগতিকদের।
বিবিসির একটি পডকাস্টে বিশ্বকাপের টুর্নামেন্ট পরিচালক ধিরাজ মালহোত্রা জানান বিশ্বকাপ নিয়ে নিজেদের বিকল্প ভাবনার কথা। তিনি বলেন, ‘এটা(বিকল্প আয়োজক) নিয়ে কী হবে না হবে, তা বলার সময় এখনো আসেনি । এটা (টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ) হতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। তবে আমরা আশা করছি, বিসিসিআই-ই এটা আয়োজন করবে। তাই আসরটি সেখানে (আরব আমিরাতে) নিয়ে গেলেও টুর্নামেন্টটি বিসিসিআইয়ের আয়োজনেই হবে।’
এদিকে আইসিসির এই মেগা ইভেন্ট আয়োজনের জন্য প্রাথমিকভাবে ৯টি ভেন্যু ঠিক করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। একই সঙ্গে পাকিস্তানসহ সব দেশের ভিসা জটিলতা নিয়েও সমস্যা হবে না বলে জানানো হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের খবর অনুযায়ী, বোর্ডের তরফ থেকে বলা হয়েছে কলকাতাসহ বিশ্বকাপের বাকি ভেন্যুগুলো হলো – মুম্বাই, দিল্লি, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, ধর্মশালা ও লখনৌ। আর, বিশ্বকাপের ফাইনালের জন্য আগে থেকেই আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামকে পরিকল্পনা করা হয়েছে।
নভেল করোনাভাইরাসের কারণে ২০২০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্থগিত হয়ে গেছে। আইসিসির নতুন সূচি অনুযায়ী, ২০২১ সালে ভারতে বসার কথা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। পরের বছর একই সময়ে অস্ট্রেলিয়াতেও হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তবে করোনার কারণে বিশ্বকাপের ভবিষ্যৎ এখন কি সেটা বলা মুশকিল।