“বিভিন্ন পত্রিকায় যুবলীগ নেতা আদরকে নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ” শীর্ষক কক্সবাজার নিউজ ডটকমসহ বিভিন্ন অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবাদটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। প্রতিবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন কাল্পনিক, মানহানীকর ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। প্রতিবাদের সাথে বাস্তবতার কোন মিলনাই।

আমার বক্তব্য হচ্ছে; জনগনের বিপুল সমর্থন নিয়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট পেয়ে নির্বাচিত চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সম্মানীত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি জননেতা আলহাজ¦ ফজলুল করিম সাঈদীকে জড়িয়ে প্রতিবাদে চরম মিথ্যাচার করা হয়েছে। অথচ: তথা কথিত অনুপ্রবেশকারী যুবলীগ নেতা হাসানুল ইসলাম আদরকে নিয়ে সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ প্রকাশিত সংবাদের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়ের কোন ধরণের সম্পৃক্ততাই ছিলনা। দেশের প্রথম শ্রেণির দৈনিক যুগান্তরসহ বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইনে যেসব সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে তা নিতান্তই স্ব স্ব সংবাদকর্মীদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। এখানে উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়কে জড়ানোর প্রশ্নই আসেনা।
উল্লেখিত প্রতিবাদে তার নামে কোন সম্পত্তি নেই দাবী করলেও, চকরিয়া পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের পুকপুকুরিয়ায় তার স্ত্রীর নামে ১৩ কড়া জমি, পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের ভরামুহুরী উপজেলা আওয়ামীলীগের অফিসের পাশে ২২ কড়া মূল্যবান জমি, থানা সেন্টার এলাকায় একটি যৌথ শেয়ারে জমি ক্রয় করেন এই আদর। চকরিয়ার চিংড়ি জোনেও রয়েছে একাধিক অবৈধ চিংড়ি ঘেরসহ বিভিন্ন এলাকায় নামে-বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি। সে এবং তার পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত নেই দাবী করলেও খোদ প্রয়াত ডুলাহাজারা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মরহুম জামাল হোসেন চৌধুরী, ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন ও বৃহত্তর চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আমির উদ্দিন বুলবুলসহ দলীয় অসংখ্য নেতাকর্মী জানিয়েছেন, তার (আদরের) পুরো পরিবারই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। সেও একসময় ছাত্রদল করতো। সে ডুলাহাজারা মারূফিয়া মাদরাসা থেকে দাখিল পরীক্ষা দিয়েছিল শুনেছি। তবে, রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই সুইডিশ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ ও ছাত্রলীগের রাজনীতি করার যে কথা বলা হয়েছে তা সত্য নয়। সে কিছুদিন পড়েছিল ঠিকই, কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেনি এবং সেখানে ছাত্র রাজনীতি করার সুযোগও নেই। এই হাসানুল ইসলাম আদরের পরোক্ষ মদদে ডুলাহাজারা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি পরিচ্ছন্ন ছাত্রনেতা সাজ্জাদ হোসেন ও তার পিতাকে একটি সাজানো মামলায় অন্যায়ভাবে আসামী করেছে। অথচ রিংভং এলাকার ওই ঘটনার সাথে সাজ্জাদ কোন মতেই জড়িত নেই।
বালু মহালের ইজারায় বা নিলামে অংশগ্রহণ নিয়ে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের মাননীয় চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদীর বিষয়ে যেকথা বলা হয়েছে, তা সঠিক নয়। মূলত: বালু মহাল ইজারার মতো তার কোন লাইসেন্সও নেই, সেখানে কিভাবে বালু মহাল ইজারা কিংবা অংশ গ্রহণ করবে। নিয়মানুযায়ী কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের রাজস্ব শাখা সর্বোচ্চ দরদাতাকে বালু মহাল ইজারা দেন। এখানে ওই বিষয় নিয়ে কারো প্রশ্ন থাকার সুযোগ নেই। কিন্তু তথা কথিত এই আদর বালু মহালের বাহানা দিয়ে প্রকাশিত প্রতিবাদে উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়কে ঘায়েল করার চেষ্টা করেছেন। সে মূলত: মাননীয় এমপি মহোদয়ের পিএস পরিচয় দিয়ে প্রশাসনিক দপ্তরসহ বিভিন্ন এলাকায় এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
এই আদর এক সময় উপজেলা চেয়ারম্যানের বাড়ি ও অফিসের কাজের লোক ছিল। উপজেলা চেয়ারম্যানের কাপড় ধুইতো, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করতো। বর্তমানেও উপজেলা চেয়ারম্যানের কাজকর্ম সম্পাদনের জন্য তার মত অন্তত ৮/১০জন কর্মচারী রয়েছে। সেখানে প্রকাশিত সংবাদে উপজেলা চেয়ারম্যানের নাম উল্লেখ করে সে নিজেকে বড় মাপের নেতা সাজানোর চেষ্টা করেছে মাত্র। যা সকলের কাছে পরিচিত। জননেতা আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদী বিপুল ভোটে উপজেলা নির্বাচিত হওয়ার পূর্বে চকরিয়া পৌরসভা ২নং ওয়ার্ডের দুইবার নির্বাচিত কাউন্সিলর ছিলেন। তাঁর জনপ্রিয়তা এমনিতে আসেনি। অভিযোগ রয়েছে, অনুপ্রবেশকারী এই আদরের বিরুদ্ধে পালাকাটা নিবাসী ছাত্রলীগ সোহেল রানা হত্যাকান্ডে পুরোপুরি সম্পৃক্ততার। তার কাজই হচ্ছে প্রশাসনিক দপ্তরে দালালী করা, অবৈধ চিংড়ি ঘের ও নিরীহ মানুষের জায়গা জমি জবর দখল করা বা অর্থের বিনিময়ে জমি দখল করে দেয়া, নিরীহ মানুষকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেয়া ইত্যাদি। সর্বোপুরি, ডুলাহাজারা ইউনিয়ন হচ্ছে; আওয়ামীলীগের ঘাটি। এখানে কোন অনুপ্রবেশকারীর স্থান নেই। যা ইতিমধ্যে প্রয়াত ডুলাহাজারা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মরহুম আলহাজ্ব জামাল হোছাইন চৌধুরী ভিডিও বার্তায় স্পষ্টভাবে ঘোষণা দিয়ে গেছেন। তাই প্রকাশিত উক্ত মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবাদে সংশ্লিষ্ট কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবানসহ প্রতিবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং তথা কথিত এই হাসানুল ইসলাম আদর থেকে সাবধান থাকার জন্য সকলের নিকট আহবান করছি।

প্রতিবাদকারী
মো: সাজ্জাত হোছাইন
সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ২নং ওয়ার্ড, চকরিয়া পৌরসভা ও উপজেলা চেয়ারম্যানের বিশেষ সহকারী।