সাজন বড়ুয়া সাজু:-

উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড  সমু্দ্রের তীরঘেষে বেয়ে আসা নদীর নাম রেজুখাল। ঐ নদীর পাশবর্তী কূলের নাম রেজুরকুল গ্রাম। এছাড়া ঐ কূলে পিনজিরকুল,ঘোনারপাড়া গ্রাম ও অবস্থিত।
এই ৩ গ্রাম নিয়ে বসবাসরত মানুষের সংখ্যা প্রায় ২০ হাজারের অধিক। আধূনিক যুগের ছোঁয়ায় অন্যান্য গ্রামের মত এই গ্রাম ও পিছিয়ে নেই,শিক্ষা দীক্ষা থেকে শুরু করে সবদিক দিয়ে এগিয়ে। তবে গ্রামবাসীর দুঃখ যেন থেমে নেই, যার কারন এই ২০ হাজার পথচারীর চলাচলের একমাত্র পথ এই কাঠের ব্রিজ।দিনের পর মাস আসে,মাসের পর বছর আসে তবে গ্রামবাসীর এই দুঃখ দূর্দশা যেন থেমে নাই।

সরকার,বিরোধীদলীয় থেকে শুরু করে সব এমপি, চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধিরা এই ব্যাপারে স্বচক্ষে দেখে গেলেও প্রতিবারের ন্যায় সবাই শুধু আশারবাণী শুনে আর হতাশ হয়। এই কাঠের ব্রিজ হওয়ায় প্রতিনিয়ত এখানে ঘটছে মারাত্মক দূর্ঘটনা।  প্রাণহানির আশংকা দেখা দেয়। বর্ষাকাল আসলে ব্রিজ ভেঙে সব গ্রাম,বাজার থেকে বিচ্ছিন্ন এক গ্রাম হয়ে পড়ে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, এই কাঠের ব্রিজটা  গ্রামবাসীদের পারাপারের একমাত্র অবলম্বন। তবে এই কাঠের ব্রিজটা নড়বড়ে। যেখানে  কাঠ পুরাতন হওয়ায় চলাচল অযোগ্য হয়েছে। যার ফলে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে এই ব্রিজটা।

এই ব্যাপারে  স্থানীয় শিক্ষিত যুবক বিজন বড়ুয়া বলেন, আমাদের গ্রামটা শিক্ষার হার ও সবদিক দিয়ে অন্যন্যা গ্রাম থেকে এগিয়ে।তবে আমাদের একটাই দূর্দশার কারন হচ্ছে আমাদের চলাচলের একমাত্র পথ এই ব্রিজ।  কিছুদিন আগে আমি এই কাঠের ব্রিজ দিয়ে আসার সময় ব্রিজের কাঠ ভেঙে খাদে পড়ে মারাত্মক দূর্ঘটনার শিকার হই।

স্থানীয় যুবক কানন বড়ুয়া বলেন, কাঠের ব্রিজটা আমাদের চলাচলের একমাত্র পথ। ছোটকাল থেকে ব্রিজটা যেমন দেখেছি এখনও আগের মতই দেখে আসছি । জনপ্রতিনিধিরা আশা দিলেও সেটা বাস্তবায়ন হচ্ছে না।

স্থানীয় যুবক রুবেল বড়ুয়া বলে এই কাঠের ব্রিজের ফলে আমাদের জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে, যা চলাচল করতে খুবই কষ্ট হয়।

আরেক স্থানীয় শিক্ষিত যুবক দীপক বড়ুয়া বলে এই কাঠের ব্রীজটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যা আমাদের খুব সতর্কভাবে পারাপার হতে হয়।

তাই ২০ হাজার মানুষের প্রাণের দাবী এই কাঠের ব্রীজটা যদি পাকা করে নির্মাণ করে তাহলে চলাচল,ব্যবসা থেকে শুরু করে এই গ্রামের সাথে অন্যন্যা বাজার ও গ্রামের লোকজন উপকৃত হবে।