সোয়েব সাঈদ, রামু :
রামুতে কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই কিশোরীর সৎ পিতাকে আটক করেছে। আটক শাহ আলম (৪০) রামুর জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের নাদেরপাড়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) রাতে রামুর জোয়ারিয়ানালা এইচএম সাঁচি উচ্চ বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী বহুল আলোচিত অবকাশ কমিউনিটি সেন্টারে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

রামু থানার ওসি (তদন্ত )অরুপ কুমার চৌধুরী জানিয়েছেন- জোয়ারিয়ানালা মালাপাড়া মিতারছড়ার একটি বাড়ি থেকে ভিকটিম (ধর্ষিতা) কে উদ্ধার ও ধর্ষণে অভিযুক্ত সৎ পিতা শাহ আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিয়ের প্রলোভন দিয়ে সাইমন নামের এক অটোরিকশা (সিএনজি) চালক সোমবার রাতে ওই কিশোরীকে অবকাশ কমিউনিটি সেন্টারে নিয়ে যায়। সেখানে সৎ পিতা শাহ আলম, সাইমন ও তাদের সহযোগি মো. কালু সহ মেয়েটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

জানা গেছে, গণধর্ষণের ফলে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে ধর্ষকেরা মেয়েটিকে জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের মালাপাড়া মিতারছড়ার নামক নির্জন এলাকায় একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে রামু থানাকে অবহিত করলে রামু থানার ওসি (তদন্ত) অরুপ কুমার চৌধুরী ও এসআই আজাদসহ ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে উদ্ধার এবং ধর্ষণে অভিযোগে কিশোরীর সৎ পিতা শাহ আলমকে আটক করে।

ধর্ষণের জড়িতরা অন্যান্যরা হলেন- রামুর জোয়ারিয়ানালা নাদেরপাড়া এলাকার মৃত শহীদ উল্লাহর ছেলে সিএনজি অটোরিকশা চালক মো.সাইমন, পুর্ব মোরাপাড়ার লেড়ু সওদাগরের ছেলে মো. কালু এবং সহযোগী অবকাশ কমিউনিটি সেন্টারের মালিক নুরুল আবছার।

ধর্ষণের শিকার কিশোরী জানিয়েছে-তার বাড়ি জোয়ারিয়ানালা নাদেরপাড়া এলাকায়। কিন্তু সে পরিবার থেকে আলাদা হয়ে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীতে বসবাস করতেন। জোয়ারিয়ানালা নাদেরপাড়া এলাকার মৃত শহীদ উল্লাহর ছেলে সিএনজি অটোরিকশা চালক সাইমন তাকে বিয়ের আশ^াস দিয়ে জোয়ারিয়ানালায় নিয়ে আসেন।
পুলিশ জানিয়েছে- ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন- এইচএম সাঁচি উচ্চ বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী অবকাশ কমিউনিটি সেন্টারে দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে মদ, জুয়া ও নারীদের নিয়ে অবৈধ কার্যকলাপ চলে আসছে। ইতোপূর্বে রামুর সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহা. শাজাহান আলি অভিযান চালিয়ে মাদক, জুয়া ও নারীদের নিয়ে অবৈধ কার্যকলাপের অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় বিতর্কিত এ কমিউনিটি সেন্টার সীলগালা করেছিলেন।